মেসিহীন মিয়ামির ধস

মাঠের লড়াইয়ে ছিলেন না লিওনেল মেসি। চোট তাকে ছিটকে দিয়েছে। আর তাতে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পেল ইন্টার মিয়ামি। অন্য কেউ মেসির অনুপস্থিতি পুষিয়ে দিতে না পারায় লজ্জায় পড়তে হলো ডেভিড বেকহ্যামের দলকে।

দলের প্রাণভোমরাকে মাঠের বাইরে রেখে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নিউইয়র্ক রেড বুলসের মাঠে রীতিমতো বিধ্বস্ত হলো মিয়ামি। শনিবার রাতে লুইস মরগানের হ্যাটট্রিকে মেসিহীন মিয়ামি উড়ে গেছে ৪-০ গোলে।

নিজেদের মাঠ বলে কথা। তাই রেড বুল অ্যারেনায় দাপট দেখাল স্বাগতিকরা। মরগানের ঝলকে ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় লিড পেয়ে যায় নিউইয়র্কে দলটি। পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে মিয়ামি।

বিরতির পর ৫১ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুইস মরগান। ১৫ মিনিট বাদে মিয়ামির জালে বল জড়ান উইকেলমান কারমোনা। ৭০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মরগান।

ম্যাচ হেরে দলের ফুটবলারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো, ‘এ ম্যাচে রেড বুলের জয়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল, আমাদের ছিল না। যখন একটি দল জয়ের ইচ্ছা ছাড়া এবং কোনো অনুপ্রেরণা ছাড়া খেলতে নামে, আর অন্য দলটি জয়ের জন্য নামে, তখন তারা জিতে যায়।’

মাঠে মেসির না থাকা নিয়ে মার্তিনো বলেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের না থাকাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিও (মেসি) খেলেনি (সে ম্যাচে ৩–১ ব্যবধানে জিতেছিল মায়ামি)।’ 

অসহায় আত্মসমর্পণ করে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে আছে এখন মিয়ামি। ৬ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। আর শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির পুঁজি ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট।

এমএলএসে মিয়ামির পরের ম্যাচ নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে। ৩১ মার্চ ঘরের মাঠের এই ম্যাচেও খেলতে পারবেন না মেসি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ দিয়ে ফিরবেন এ সুপারস্টার। ৩ এপ্রিল মেসির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের প্রতিপক্ষ মন্টেরি।