প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২২:২২ পিএম
সাথিরা জাকির, রোকেয়া সুলতানা ও চম্পা চাকমা
সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। নারীদের অগ্রযাত্রা চোখে পড়ছে ক্রিকেটেও। এবার তো ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পাঁচ নারী। আইসিসির আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে নিজেদের নাম লিখে কীর্তি গড়েছেন তারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের চার নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানী সরকার ও চম্পা চাকমা। তাদের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সুপ্রিয়া রানী দাস।
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠুর কাছে এটা বড় এক অর্জন, ‘দুই বছর আগে তাদের আনার পর ভালো করেছে বলেই আইসিসির নজরে এসেছে। এটা অন্যতম বড় একটা অর্জন। আগে মেয়েরা ক্রিকেট খেলত, এখন এটাকেও ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে। আমাদের পুরো সমর্থন আছেÑ ছেলে ও মেয়েদের, যেন এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারে।’
এর আগে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথমবারের মতো দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিয়েছিল দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। তাদের একজন সাথিরা জাকির জেসি। অন্যজন মিশু চৌধুরী। জেসি এবার সুখবর পেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকেও।
খুশির খবর পেয়েই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার সঙ্গে ভাগ নিয়েছেন সাথিরা জাকির জেসি। সঙ্গে জানিয়েছেন নিজের মনের উচ্ছ্বাসের কথা, ‘আমি খুশি, কারণ আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ থেকে আমি আইসিসির নারী ডেভেলপমেন্ট প্যানেলের অংশ। এজন্য বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাই, ওমর রতন ভাই, অভি ভাই, বুলবুল ভাই, তৌহিদ ভাই ও মুন্না ভাইসহ সবাইকে ধন্যবাদ। যারা আমার চলার পথকে সহজ করেছেন। এমন আনন্দের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। পরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’
গর্বিত আম্পায়ার চম্পা বলেন, ‘আমি অনেক গর্বিত। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। এমনিতে সরকারি চাকরি করি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। সেখানেও সহায়তা পেয়েছি। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাচ করা। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
রোকেয়ার দৃষ্টিতে এই স্বীকৃতিতে নারী আম্পায়ারদের আরও উৎসাহ জোগাবে, ‘যারা শুরু করেছিলাম, সবাই ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে চলে এসেছি। মেয়েরা যারা খেলা ছেড়েছে, সবাইকেই বলি আমরা আম্পায়ারিংয়ে আসতে। আমরা দুই বছরের মাথায় ফল পেয়েছি। এমন খবরের পর আরও অনেকেই আসবে।’