প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ০২:২০ এএম
ফিলিস্তিনের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার রাতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় আশার বাণীই শুনিয়েছিলেন দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ম্যাচে জয়ের আশা করছিলেন অধিনায়ক, অন্তত এক পয়েন্টের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কোচ। সে লক্ষ্যে মাঠে নেমে দারুণ শুরুই করে বাংলাদেশ।
কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানেই হার মেনে মাঠ ছাড়ে কাবরেরার দল। ম্যাচের পর হতাশ কোচ কাবরেরা। অনেক কিছুর হিসাবই মেলাতে পারছেন না তিনি। উত্তর খুঁজছেন দলের হঠাৎ বিপর্যয়ের।
এমন পরাজয়ের পর প্রশ্নটা উঠছেই। ৪০ মিনিট পর হঠাৎ কী হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। যেখানে তার আগপর্যন্ত চোখে চোখ রেখে লড়াই করে বাংলাদেশ, সুযোগ তৈরি করে একের পর এক। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে ফিলিস্তিনের অতর্কিত ঝড়ে পথ হারায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিট এবং যোগ করা সময়ের এক মিনিটের মাথায় হজম করে দুটি গোল।
বিরতির পর ফিরে আবারও সেই পাঁচ মিনিটের ঝড় বয়ে যায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার ওপর দিয়ে। এবার ৪৯ থেকে ৫৩ মিনিটের মধ্যে দুইবার কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের জাল। তাতে গোলরক্ষকের কোনো দায় হয়তো দেওয়া যায় না। নিয়মিত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরিবর্তে নেমে ভালোই করেছেন তিনি।
তবে অরক্ষিত ডিফেন্ডারদের কারণে একের পর এক গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে কোচ কাবরেরা বলেছেন, ‘ফলের দিক থেকে এটা মেনে নেওয়া বেশ কঠিন। ম্যাচের শুরুর ৪০ মিনিট আমরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, ফিলিস্তিনের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি। কিন্তু প্রথমার্ধে যেভাবে আমাদের খেলার মান পড়ে গিয়েছিল। আমরা জানতাম ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলার সময় কোনো একপর্যায়ে এমন কিছু হতে পারে, কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে মান অনেক বেশি পড়ে যায় এবং আমি মনে করি সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দলের জন্য খুব কঠিন ছিল।’
কাবরেরার আক্ষেপ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। প্রথমার্ধের ৪০ মিনিট পর্যন্ত দারুণ ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। খেলায় উন্নতির ছাপ ছিল। আক্রমণ, পাসিং ছিল দুর্দান্ত। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই দৃশ্যপট বদলে যায়। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিয়ে নেয় ফিলিস্তিন। এই অর্ধে বলের নাগাল পেতে বেশ লড়াই করেছেন মিডফিল্ডার ও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা। ঝড় গেছে ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে।
সেটি চোখে পড়েছে কাবরেরারও- ‘দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হঠাৎ করে আমরা আরও দুই গোল খেয়ে বসলাম, তাতে দলের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়। শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমরা স্রেফ উড়ে গেছি। সত্যি বলতে এটাই বাস্তবতা। কী ঘটে গেল, সেগুলো এখন আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। সমন্বয় করতে হবে এবং এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে; খেলায় অনেক উন্নতি করতে হবে।’
এটি ছিল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম লেগের ম্যাচ। দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়, আগামী ২৬ মার্চ। তাই এই ম্যাচের ফল নিয়ে বেশি ভাবার সময় দলের কাছে নেই। পরবর্তী ম্যাচের জন্য এখন প্রস্তুতি নেবেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।