প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ২০:২২ পিএম
বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পেস বোলিং কোচ— গেটি ইমেজেস
ভিন্ন হতে পারত দৃশ্যপট। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা একশ কিংবা দেড়শ রানেই থামতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। ক্যাচ মিসের আক্ষেপ আর কিছু ভুলে বাংলাদেশ আশা জাগিয়েও ভুগেছে। ব্যাটিংয়েও আসেনি ভালো শুরু। লঙ্কানদের দুটি দুইশ ছাড়ানো ইনিংসের খেসারতই তাই গলার কাটা হতে যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
টাইগারদের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস মনে করেন, দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলামের সরাসরি থ্রোতে রান আউটের সুযোগ এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচ মিস দলকে পুড়িয়েছে। এই দুটি সুযোগ নিলে দলের অবস্থান আরো ভালো থাকতো বলে বিশ্বাস করেন অ্যাডামস, ‘এটা হতাশার যে আমরা দুটি সুযোগ নিতে পারিনি। যদি নিতে পারতাম দিনটা আমাদের হতে পারত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আমরা ৭ উইকেট তুলে নিতে পারতাম।’ কিন্তু সেটি হয়নি। সফরকারী অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরি খাদের কিনার থেকে টেনেছে লঙ্কানদের। সেটিই টাইগারদের বড় আক্ষেপ।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলায় ৭ উইকেট হাতে নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। ২৪৮ রান পিছিয়ে থাকা দলকে টানবেন ওপেনার জয় ও নাইটওয়াচ ম্যান হিসেবে থাকা তাইজুল ইসলাম। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের অবস্থান জানাতে গিয়ে অ্যাডামস বলেছেন বেশি রানের অস্বস্থির কথা, ‘আমরা কিরকম ব্যাটিং করি তা দেখার আছে। আমি মনে করি, পাঁচ উইকেট হারানোর পর আমরা বেশি রান দিয়ে দিয়েছি। যদিও উইকেট ভালো ছিল। কোনো অসুবিধা হয়নি। বল খুব সুন্দর ব্যাটে এসেছে। আমাদেরকে তাই ভালো ব্যাটিং করতে হবে। পরিস্থিতি এখনও নাগালের বাইরে যায়নি তবুও দেখতে হবে কেমন ব্যাটিং করি আমরা।’
দলের পারফরম্যান্স একেবারেই যে হতাশার তা নয়। শুরুতে পেসারদের দারুণ কাজ এবং শেষে অভিষেক হওয়া নাহিদ রানার তাণ্ডব— সবমিলিয়ে দিনটি নিজেদের পক্ষেই থাকতে পারত যদি না তিন উইকটে হারিয়ে বসত দল। পড়ন্ত বিকেলে জাকির হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে টাইগারদের অবস্থান এখন নড়বড়ে। বোলিং যে প্রচেষ্টা দেখিয়েছে বাংলাদেশ তাতে অবশ্য খুশি অ্যাডামস, ‘তরুণ পেস আক্রমণে যারা ছিল প্রত্যেকে ভালো করেছে। বিশেষ করে তারা একেবারেই অনভিজ্ঞ। চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। আরো ভালো কিভাবে করা যায় সেটা দেখতে হবে। শ্রীলঙ্কা যেভাবে খেলেছে সেভাবেই তাদের খেলার কথা। তারা আমাদের ওপর চড়াও হবে। আমরা নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে কিভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি সেখানেই কাজ করতে হবে।’
গত কয়েক বছর ধরে টাইগার পেসারদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অ্যানাল ডোনাল্ডের ওই সাফল্যের উত্তরাধীকারী এখন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যাডামস। তাসকিন-শরিফুলদের দায়িত্ব তার কাঁধে। কিউই তারকা অবশ্য চাইছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে, ‘আমার কাজ হচ্ছে তাদের (পেসারদের) উন্নতি করানো। কঠিন ব্যাপার হচ্ছে সবসময়ই খেলা থাকে। আপনাকে খেলার মধ্যেই উন্নতি করতে হবে। ভাষাগত বাধা আছে, এটা কাটাতে হবে। আমি তাদের ওপর বাড়তি কিছু চাপিয়ে না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক আছি। তারা এই পর্যায় অবধি এসেছে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা কীভাবে কাজ করে, সেটা বুঝতে পারা। আমার কাজের অংশ হচ্ছে উন্নতি।’