প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ১৯:২১ পিএম
এল সালভাদরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুশীলনে ডি মারিয়া, আলেজান্দ্রো গার্নাচো। ছবি : এক্স
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা। টানা ১৪ ম্যাচে তাদের জয়ের রেকর্ডটি অবশেষে ভাঙ্গে উরুগুয়ে। নভেম্বরে সেই ম্যাচে হারার পর আলবিসেলেস্তেরা জয়ের ধারায় ফেরে পরের ম্যাচেই। তাও বিশ্বরেকর্ড গড়ে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ব্রাজিলকে তাদের ঘরের মাঠে হারায় লিওনেল মেসি ব্রিগেড। এর আগে কখনোই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায় ঘরের মাঠে হারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রথম আর্জেন্টিনাকে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে এল সালভাদর। সবশেষ টানা দশ ম্যাচের কেবল একটিতে হারা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের রুখে দিতে পারবে তো উত্তর আমেরিকার দেশটি?
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি শনিবার মাঠে গড়াবে ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ডে। অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। এই ম্যাচের আগে দুই দল সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেবার ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে প্রথমার্ধে বেশ লড়াই করেছিল সালভাদর। গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে লিড পায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে আর্জেন্টিনার হয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন ম্যানকুয়েলো।
তবে সেই আর্জেন্টিনার সঙ্গে বর্তমান আর্জেন্টিনাকে মেলানো যাচ্ছে না। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং ক্ষুরধার। কারণটা খুবই পরিষ্কার, সবশেষ কয়েক বছরে বেশ কিছু ট্রফি জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল। এ ছাড়া ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কনমেবল অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সামনেই কোপা আমেরিকা। মুকুট রক্ষায় মাঠে নামার আগে তিন মাস সময় পাচ্ছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা দেশটি এখন আসন্ন টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি নিতে দুটি প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে। এল সালভাদরের বিপক্ষে খেলার তিন দিন পর কোস্টারিকাকে মোকাবিলা করবে মেসি বাহিনী। নিশ্চিতভাবেই এই দুটি ম্যাচে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইবে স্কালোনির দল।
এল সালভাদরের সাম্প্রতিক ফর্ম অবশ্য ভালো নয়। সবশেষ ১৯ ম্যাচে জয়হীন তারা। এর মধ্যে নয়টি ড্র এবং দশটিতে পরাজয়বরণ করেছে দলটি। তারা সবশেষ জয়ের উদযাপন করে ২০২২ সালের জুনে; গ্রানাডাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। ২০২৩ সালের কনকাকাফ গোল্ডকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় সালভাদর। এরপর জানুয়ারিতে এল সালভাদরের হটসিটে বসেন ডেভিড ডোনিগা। রুবেন দে লা বারেরার স্থলাভিষিক্ত হন স্প্যানিশ কোচ। ২০২৬ কনকাকাফ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে চান ৪২ বছর বয়সি কোচ। এই পথে তাদের প্রথম পরীক্ষা উড়তে থাকা দুর্দান্ত আর্জেন্টিনা। তবে ডোনিগার দল বিশেষ কিছু করার সাহস পেতেই পারেÑ কেননা লিওনেল মেসিকে মোকাবিলা করতে হবে না তাদের। ইন্টার মিয়ামির একটি খেলায় ছোটখাটো ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। দলে নেই লিসান্দ্রো মার্টিনেজ ও এজিকুয়েল প্যালাসিয়সের মতো তারকা ফুটবলাররাও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাওলো দিবালাও নেই এই দলে। কদিন আগে লিগের একটি ম্যাচে ঊরুর চোটে পড়েছেন রোমার এই ফরোয়ার্ড।
কয়েকজন তারকা ফুটবলারের অনুপস্থিতিতে কপাল খুলতে পারে ভ্যালেন্টিন বার্কো, নিকোলাস ভ্যালেন্টিনি এবং ভ্যালেন্টিন কার্বোনির। এই তিন খেলোয়াড়ই আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাইনের সুবিধা নিতে অবশ্য আশাজাগানিয়া রক্ষণভাগ নেই সালভাদরের। দলে সুযোগ পাওয়া সাতজন ডিফেন্ডারের মধ্যে কারোরই চারটির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য শুরুর একাদশ : এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, ডি পল, ডি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ, আলেজান্দ্রো গার্নাচো।