প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:২০ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৬ পিএম
পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগের (পিএসএল) নবম আসরের শিরোপা জিতেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে শেষ বলের নাটকীয়তায় মুলতান সুলতানসকে ২ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে ইসলামাবাদ। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল দলটি।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে করাচি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পিএসএলের ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ করেছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল মুলতান। জবাব দিতে নেমে শেষ বলে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় শাদাব খানের ইসলামাবাদ। এই হারে টানা তিন আসরের ফাইনাল হারল মুলতান।
জয়ের জন্য ১৬০ রান তাড়ায় আক্রমণাত্মক শুরু করেন কলিন মুনরো। তবে ইনিংস বড় করার আগেই মুনরোকে ফিরিয়েছেন খুশদিল শাহ। ১৭ রানে ফিরতে হয় তাকে। এরপর সালমান আলী আঘাকেও বিদায় করেছেন খুশদিল। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১০ রান করেন তিনি। চারে নেমে থিতু হতে পারেননি শাদাব। ইফতিখারের বিপক্ষে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ইসলামাবাদের অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে মাত্র ৪ রান।
একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন মার্টিন গাপটিল। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। তবে আজম খানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়তে হয়েছে গাপটিলকে। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় তাকে। শেষদিকে আজম ৩০, হায়দার আলী ৫ এবং ফাহিম আশরাফ ১ রান করে দ্রুত বিদায় নিলে বিপাকে পড়ে ইসলামাবাদ। কিন্তু নাসিম শাহের ৯ বলে ১৭ এবং ইমাদের ১৭ বলে অপরাজিত ১৯ রান ইসলামাবাদকে এনে দেয় ৩য় শিরোপা। শেষ বলে ১ রানের প্রয়োজনের সময় বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতান হুনাইন শাহ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় মুলতান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসির খান। আসরে ধারাবাহিক রান করা এই ব্যাটার ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য ওপরে আনা হয় উইলিকে। ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও, করেছেন ৬ রান। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন রিজওয়ান ও উসমান খান। তাদের দুজনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন শাদাব। মুলতানের অধিনায়ক রিজওয়ান আউট হয়েছেন ২৬ বলে ২৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে।
উসমান খান ফিফটি হাঁকিয়ে ফেরেন ৪০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। এরপর দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন জনসন চার্লস (৪) এবং খুশদিল শাহ (১১)। শেষদিকে ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে মুলতানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে সবশেষ চার মৌসুমের ফাইনালে উঠলেও একবারের বেশি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুলতান সুলতানস : ২০ ওভারে ১৫৯/৯ (ইয়াসির ৬, রিজওয়ান ২৬, উইলি ৬, উসমান ৫৭, জনসন ৪, খুশদিল ১১, উসামা ৬, ইফতিখার ৩২*, জর্ডান ০, আব্বাস ১, মোহাম্মদ আলি ০*; নাসিম ৪-০-২৫-০, ইমাদ ৪-০-২৩-৫, হুনাইন ১-০-১৭-০, ফাহিম ৩-০-৩৩-০, তমাল ৪-০-২৪-০ ও শাদাব ৪-০-৩২-৩)
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড : ২০ ওভারে ১৬৩/৮ (গাপটিল ৫০, কলিন ১৭, সালমান ১০, শাদাব ৪, আজম ৩০, ইমাদ ১৯*, হায়দার ৫, ফাহিম ১, নাসিম ১৭, হুনাইন ৪*; উইলি ২-০-১৫-১, খুশদিল ৪-১-২১-২, আলি ৪-০-৩২-১, ইফতিখার ৩-০-১৯-২, জর্ডান ৩-০-২৮-০, উসামা ৩-০-৩৬-১ ও আব্বাস ১-০-৯-০)।
ফল : ২ উইকেটে জয়ী ইসলামাবাদ।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইমাদ ওয়াসিম ১৯* (১৭) ও ৫/২৩।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : শাদাব খান ৩০৫ রান ও ১৪ উইকেট।