চট্টলায় ইনজুরি মিছিল

ক্রীড়াবিদের ক্যারিয়ারে দাঁড়ি ফেলে দিতে ‘ইনজুরি’ শব্দটির মাহাত্ম্য অনেক। ইনজুরিতে রিজার্ভ বেঞ্চে অপেক্ষমাণের ভাগ্য খুললেও আদতে কপাল পুড়ে একটি জীবন্ত স্বপ্নের। প্রতিপক্ষ-কন্ডিশন কিংবা শক্তিমত্তা— ফুটবল বলেন আর ক্রিকেট; টিম ম্যানেজম্যান্টের পাহাড়সম ভাবনা এই ‘ইনজুরি’ ঘিরে। আধুনিক ক্রিকেটে ‘কনকাশন’ ব্যবস্থা থাকলেও সিরিজ চলাকালে কিংবা বৈশ্বিক ইভেন্টের আগে ইনজুরি বড় ভীতির কারণ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচে ইনজুরি মিছিল নেমেছিল। বাংলাদেশ দলের চার ক্রিকেটার—জাকের আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম পড়েছেন ইনজুরিতে। ইনজুরির কারণে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলা হয়নি তানজিম হাসান সাকিব ও শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কার। শুধু ক্রিকেটার কেন!  প্রচণ্ড গরমে মাঠে নামেননি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো। তার পরিবর্তে নেমেছেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ।

বাউন্ডারি লাইনের বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডের সঙ্গে আঘাত পেয়েছিলেন সৌম্য। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাসপাতালে যেতে হয়েছে জাকের আলীকে। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ব্যথা পেয়েছিলেন হাতে। মাংসপেশিতে টান পড়ায় (ক্র্যাম্প) পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও বোলিং শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। 

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সৌম্য সুস্থ নেই। তার চোখে, ঘাড়ে ও মাথায় সমস্যা হচ্ছে।’ বাদবাকিদের খবর এই মুহূর্তে জানাতে পারেননি বিসিবির চিকিৎসক।