প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫১ পিএম
ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই অবদান রাখতে চান তরুণ পেসার ছবি: গেটি ইমেজস
গত বছর ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে তানজিম হাসান সাকিবের ওয়ানডে অভিষেক। পরশু খেলেছেন সপ্তম ম্যাচ। এই সাত ম্যাচে নিজেকে ভালোই চিনিয়েছেন। ওভারপ্রতি ৫.৬৩ রান খরচায় নিয়েছেন ১২ উইকেট। এসময় চারবার ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ৫০ রান। পেসার সাকিব বুঝিয়েছেন ব্যাটিংয়েও তিনি কম যান না। জাতীয় দলে আরও বেশি ভূমিকা রাখার চিন্তাই করছেন ২১ বর্ষী পেসার। শুধু বোলিং ইনিংসেই সীমাবদ্ধ রাখতে চান না ক্যারিয়ার।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং ও ব্যাটিংয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী সাকিব। শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজের এক ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন স্বপ্নের কথা, ‘মানুষ তো স্বপ্ন দেখেই। আমি যখন দলের হয়ে খেলি চেষ্টা করি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন দিকে অবদান রাখার। তিন দিক দিয়ে যদি সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে দল অবশ্যই ভালো কিছু পাবে। এটাই চেষ্টা করি। যদি ব্যাটিংয়ে যাই ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দলকে সাপোর্ট দিতে চাই। বোলিংয়ে গেলে বোলিংয়ের মাধ্যমে। ফিল্ডিংয়ে গেলে ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে। তাহলেই দল ভালো করবে। যদি প্রতিটা ক্ষেত্রে ভালো করি তাহলে দল ভালো পাবে আমার কাছ থেকে।’
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন সাকিব। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তাওহীদ হৃদয়কে দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। টাইগারদের টেলএন্ডারের বালির বাধের মতো ভেঙে পড়ার ক্ষেত্রে সাকিব বা তাসকিনরা বেশ কার্যকরী। লঙ্কানদের বিপক্ষে হৃদয়ের হৃদয়কাড়া ব্যাটিংয়ে হেরে গেলেও প্রশংসা কুড়িয়েছিল সাকিবের ব্যাটিং। তার ৩৩ বলের ১৮ রানের ইনিংস তখন বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ আনতে বেশ কাজে দিয়েছে।
সাকিবের তবে চাওয়া ছিল আরেকটু বেশি, ‘যখন ব্যাটিংয়ে নামি আমার চেষ্টা ছিল আমি হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিব। শেষের দিকে আমি একটু চার্জ করব। আমি হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিচ্ছিলাম কিন্তু যে শটে আউট হয়েছি আমি আসলে সন্তুষ্ট না। যদি আরও ২ ওভার হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিতে পারতাম তাহলে আমরা আরও একটু বেশি রান করতে পারতাম। দলের জন্য আরও অবদান রাখতে পারতাম।’
হৃদয়ের সাথে নিজের বোঝাপড়াটাও জানিয়েছেন সাকিব, ‘খুবই দারুণ লাগসে হৃদয় ভাই আমাকে বলসে যে তুই ব্যাটিং করতে থাক বল ডট গেলে কোনো সমস্যা নাই আমি পুষায়ে দিতে পারব শেষের দিকে। আমি বলসি ঠিকাছে ভাই আমি আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছি সিঙ্গেল বের করে দিচ্ছি। আপনি আপনার মত খেলতে থাকেন। অবশ্যই আমাদের বন্ডিংটা কাজে লেগেছে। হৃদয় ভাই আমাকে খুব ভালোভাবে চিনে, আমিও হৃদয় ভাইকে খুব ভালোভাবে চিনি। এই বন্ডিংটা কাজে দেয় অনেক মাঠের মধ্যে।’