ডিপিএল ২০২৪
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৪ পিএম
ব্যাট হাতে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (১৫১) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (১১৯); প্রবা ছবি
ব্যাট হাতে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাত হোসেন দিপু। শেষদিকে শেখ মেহেদী হাসানের ক্যামিও ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি ব্রাদার্স ইউনিয়নের ব্যাটাররা। প্রাইমের দুই স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণি বিষে চাপা পড়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে টানা দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৮০ রান জমা করেছিল প্রাইম ব্যাংক। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত সময়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানে থেমে যায় ব্রাদার্সের ইনিংস। এতে ১৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা।
দিনের শুরুতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন শাহাদাত হোসেন দিপু ও পারভেজ হোসেন ইমন। এই দুই তরুণ ক্রিকেটার দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ১৮ ওভারেই তাদের জুটি শতরান পূরণ করে। এরপর দুইজনেই ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে এবং পেয়েও যান কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের দেখা। দিপু সেঞ্চুরি হাঁকান ৯৫ বলে। তবে সেঞ্চুরি করার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১১১ বলে ১১৯ রান করেন দিপু। তার ১০৭.২১ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও চারটি ছক্কায়।
২৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে আবু জায়েদ রাহীর বলে আউট হন দিপু। তারপর ইমনও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০৪ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ইমন। এরমাঝে তামিম তিনে নেমে দ্রুতই বিদায় নেন। করেন ১৫ বলে ১৬ রান। সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে রাহীর তালুবন্দী হন তামিম। অপরদিকে, ইমন থামেন দেড় শতাধিক রান করে। ১২৯ বলে ১৫১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৮টি ছক্কায়। ইমনের ১১৭.০৯ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসের সমাপ্তিও হয় রাহীর বলে। রাহীর বলে রাহীর হাতেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ইমন।
প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৩ বলে ৭ রান করেই রাহীর বলে আউট হন। তবে ঝড়ো জুটি গড়েন জাকির হাসান ও শেখ মেহেদী। মেহেদী দেখান ক্যামিও। মাত্র ১৭ বলে হার না মানা ৪৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। হাঁকান চারটি চার ও তিনটি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট প্রায় ২৬৫। অপরপ্রান্তে জাকির করেন ২০ বলে ১৭ রান। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে প্রাইম ব্যাংক সংগ্রহ করে ৩৮০ রান।
রান তাড়ায় ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইতিবাচক শুরু করেন ইমতিয়াজ হোসেন ও আব্দুল মজিদ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫৭ রান। তবে ৩৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন ইমতিয়াজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমতউল্লাহ আলির সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন মজিদ। ৭৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ফেরেন এই ওপেনার। রহমতউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৩৭ রান। শুরুর তিন ব্যাটসম্যান ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেও রানের চাহিদার সঙ্গে টক্কর দিতে পারেননি। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও পারেননি আশা জাগানোর মতো কিছু করতে। ফলে বড় পরাজয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাদার্সকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯ ওভারে ৩৮০/৪ (শাহাদাত ১১৯, পারভেজ ১৫১, তামিম ১৬, জাকির ১৭*, মিঠুন ৭, মেহেদি ৪৫*; আবু জায়েদ ১০-০-৭০-৩, সালাউদ্দিন ৯-০-৮৫-১, জাকিরুল ১-০-১৫-০, রাহাতুল ৬-০-৩৫-০, মাহমুদুল ৬-০-৪০-০, মনির ১০-০-৮৩-০, রহমতউল্লাহ ৫-০-৩৪-০, ইমতিয়াজ ২-০-১৪-০)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৯ ওভারে ২১৫/৯ (ইমতিয়াজ ৩১, মজিদ ৫৬, রহমতউল্লাহ ৩৭, মাহমুদুল ২, রাহাতুল ৮, আসিফ ৩, জাকিরুল ৩, শাকিল ২৩*, মনির ৬, আবু জায়েদ ১৭, সালাউদ্দিন ১৪*; হাসান ৬-০-৩৩-০, নাজমুল ১০-১-৩৪-৩, সানজামুল ১০-০-৪০-৩, মেহেদি ১০-০-৪৬-১, রুবেল ৬-১-২৪-১, নাঈম ৩-০-১০-০, শাহাদাত ১-০-৮-০, জাকির ২-০-১২-০, পারভেজ ১-০-৪-০)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৬৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ হোসেন।