প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৫ পিএম
লিওনেল মেসি
প্রথম লেগে হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছিল ইন্টার মিয়ামিকে। প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলের মাঠ থেকে হোঁচট খেয়ে মাঠ ছেড়েছিল তারা। ২-২ গোলের ড্রয়ের অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছিল লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজদের। ওই ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছিলেন মেসি-সুয়ারেজ দুই তারকাই। তবে আজ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যাচ ভাগ্য বদলে গেছে তাদের। নিজেদের মাঠে ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে ধরাশায়ী করেছে ইন্টার মায়ামি।
ম্যাচ ভাগ্য বদলালেও গোল ভাগ্য অপরিবর্তিত থেকে গেছে মেসি-সুয়ারেজদের। আজও জালের দেখা পেয়েছেন দুই ফুটবল সুপারস্টার। দুজনের নৈপুণ্যে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের নাম লিখেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর মেসির দল। ইন্টার মায়ামির হয়ে অন্য গোলটি এনে দেন রবার্ট টেলর।
লড়াইয়ের অষ্টম মিনিটের মাথায় মায়ামিকে প্রথম গোল উপহার দেন সুয়ারেজ। ন্যাশভিলের রক্ষণ দেয়াল চিড়ে বক্সের মধ্যে সুয়ারেজকে দুর্দান্ত এক পাস দেন বিশ্বকাপ জয়ী মেসি। সুযোগ পেয়ে আর কোনো ভুল করেননি সুয়ারেজ। নির্ভুল নিশানায় বল জড়ান জালে।
রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডিঅর জেতা মেসি গোলের দেখা পান ম্যাচের বয়স ২৩ মিনিট হতেই। ডি-বক্সের মধ্যে ডিয়েগো গোমেজের ঠেলে দেওয়া বল পেয়ে বাঁ পায়ের চোখ ধাঁধানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে টানা চার ম্যাচে গোলের খোঁজ পেলেন মেসি। আর সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এ মৌসুমে মায়ামির জার্সি গায়ে জড়িয়ে পাঁচ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যাও দাঁড়াল পাঁচ। সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও চার গোল।
প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইন্টার মিয়ামি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট পর মেসিকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। পরে জানা যায়, ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন এ ফুটবল মহাতারকা। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) শনিবার ডিসি ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে মিয়ামি। এ ম্যাচে মেসিকে পাওয়া যাবে না বলেই আভাস দিয়ে রেখেছেন জেরার্ডো মার্টিনো। মেসির বদলি হিসেবে নেমে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন টেলর। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে অসাধারণ এক হেডে মিয়ামির জয়ের পথ মসৃণ করে দেন তিনি। ম্যাচের শেষদিকে ইনজুরি টাইমে ন্যাশভিলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন স্যাম সারিডজ।
ম্যাচ শেষে মেসির স্তুতি গেয়ে মিয়ামির ফুটবল গুরু মার্টিনো বলেন, ‘সেরা খেলোয়াড়রা তাদের ক্যারিয়ারজুড়ে যেভাবে খেলে এবং যেখানেই খেলে না কেন, জয়ের ক্ষুধা ধরে রাখে। এটি তার বড় একটি বৈশিষ্ট্য। আমি বলছি না, এটি আমাকে অবাক করেছে, কারণ এই নিয়ে তৃতীয়বার আমি তাকে কোচিং করাচ্ছি। বার্সেলোনায় প্রথমবার যেভাবে দেখেছি, এখনও সেটাই দেখছি, সামনে আসা সবকিছু জয়ের আকাঙ্ক্ষা।’
কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি-সুয়ারেজরা লড়বেন ২ এপ্রিল। তবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আজ শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে মনটেরি ও সিনসিনাটির মধ্যকার জয়ী দল হবে তাদের মাঠের শত্রু।