প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:১৩ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:১৪ পিএম
টাইগার ক্রিকেটাররা
সিলেটের মাটিতে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ২৮ রানের দুঃখে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা প্রলেপ দেন ৮ উইকেটের বিধ্বংসী জয়ে। ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্যান্সে দেশের ছেলেরা পৌঁছে গিয়েছিলেন সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায় অলিখিত ফাইনাল। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তীরে এসে তরি ডোবান শান্ত-লিটনরা। মাত্র ৩ রানে হেরে সিরিজ ট্রফি হাতছাড়া করেন।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের লড়াই শেষে গতকাল বুধবার সাগরিকায় পর্দা উঠেছে ওয়ানডে সিরিজের। এক দিনের সিরিজ শেষে মাঠে গড়াবে লাল বলের যুদ্ধ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ফল যাই হোক, বাড়তি ম্যাচ ফি পাবেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। কেননা এই সিরিজ দিয়েই নতুন ম্যাচ ফি কার্যকর হচ্ছে।
টাইগারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়িয়েছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। শুধু ক্রিকেটের এলিট সংস্করণেই নয়; ম্যাচ ফি বেড়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও। গত ফেব্রুয়ারিতে পরিচালনা পর্ষদের নবম সভায় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিল ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। পরিচালকদের নিয়ে বসা সেই বৈঠকে ফি বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে ম্যাচ ফি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। টেস্টে ম্যাচ ফি বেড়েছে ২ লাখ টাকা। আর ওডিআইতে ১ লাখ এবং কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বেড়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। আগে দেশের ক্রিকেটাররা টেস্ট খেললে ম্যাচ ফি পেতেন ৬ লাখ টাকা। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ টাকা। এক দিনের ম্যাচ খেললেই টাইগারদের পকেটে যেত ৩ লাখ টাকা। এখন পাবেন তারা ৪ লাখ টাকা করে। টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকার বদলে ক্রিকেটারদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স সূত্রে জানা গেছে এ খবর।
আগে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়েছিল ২০২০ সালে। তখন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার টেস্ট ম্যাচ ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬ লাখ টাকা। আর ওয়ানডের ২ লাখ টাকার ম্যাচ ফি বেড়ে গিয়েছিল ৩ লাখ টাকা। টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বোর্ড বাড়িয়ে করেছিল ২ লাখ টাকা।
বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চার দফায় বাড়িয়েছে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি। ২০১২ সালে টেস্ট ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে সেটা হয় ২ লাখ টাকা। পরের বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ ফি বাড়ে। ২০১৭ সালে টেস্ট ম্যাচের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করে বিসিবি। বাড়ানো হয় সীমিত ওভারের ফরম্যাটের ফিও। সবশেষ ২০২০ সালে দ্বিগুণ করা হয় টেস্টের ম্যাচ ফি।
ম্যাচ ফির সঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রীয় চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। চুক্তিতে থাকা বা চুক্তির বাইরের ক্রিকেটাররা যে সংস্করণে খেলবেন সে অনুযায়ী ম্যাচ ফি পাবেন। চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা মাসিক বেতনের সঙ্গে প্রতি ম্যাচের আলাদা ফি পাবেন। আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যারা নেই, তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললে কেবল ম্যাচ ফি পাবেন ফরম্যাট অনুযায়ী।
এ বছর বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন সংস্করণে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। টেস্ট ও ওয়ানডেতে শুধু মুশফিকুর রহিম। শুধু টেস্টে আছেন মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদ।
অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ। ওয়ানডেতে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে আছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মাহেদী ও কাজী নুরুল হাসান সোহান।