চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪ ০৫:০০ এএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
রায়া বীরত্বে শেষ আটে আর্সেনাল। ছবি : এক্স
এফসি পোর্তোর বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হলো আর্সেনালকে। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেও শেষ আটের টিকিট মেলেনি। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হেরে আসায় আর্সেনালকে যেতে হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলায়। সেখানেও মীমাংসা না হলে পেনাল্টি শূটআউটে নির্ধারিত হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে যাওয়ার লড়াই। অবশেষে তিন ধাপের চ্যালেঞ্জ উতরে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় মিকেল আর্তেতার দল। ২০১০ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো গানাররা।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে আর্সেনালের আতিথেয়তা নেয় পোর্তো। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে গানাররা। দুই লেগ মিলে এগ্রিগেট তখন ১-১। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত সময়ের খেলাতেও থাকে গোলশূন্য ড্র। পরে পেনাল্টি শ্যূটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্সেনাল। নির্ধারিত সময়ের খেলায় গোল করেন লিয়ান্দ্রো ট্রর্সার্ড। পেনাল্টিতে আর্সেনালের হয়ে মার্টিন ওডেগার্ড, কাই হাভার্টস, বুকায়ো সাকা এবং ডেকলান রাইস প্রত্যেকেই জালের দেখা পান। পোর্তোর ওয়েন্ডেল ও ওয়েন্ডারসন গেলানোর শট ঠেকিয়ে দেন আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। ম্যাচের নায়কও তিনিই।
অথচ এই দলের প্রথম গোলরক্ষক কিন্তু অ্যারন রামসডালে। তার পরিবর্তে নেমেই আর্সেনালের নায়ক বনে যান স্প্যানিশ ২৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক। ম্যাচ শেষে টিএন্ডটি স্পোর্টসকে রায়া বলেছেন, ‘স্পষ্টতই এটা আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দারুণ অনুভূতি। এত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ক্লাবের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা এবং তাতে আমার অবদান, সত্যি ভালো লাগছে। আমরা শুরু থেকেই খুব ভালো খেলেছি, আধিপত্য বিস্তার করেছি, সুযোগ তৈরি করেছি। শেষ পর্যন্ত যদিও এটি পেনাল্টিতে গেছে। আমরা এই বছর পেনাল্টি নিয়ে অনেক কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে এবং সম্মিলিতভাবে একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত। দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছি। এটা আমার দলের জন্য সহজ হয়েছে। আমরা গোল করেছি।’
এদিন খেলার ৪১তম মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ডের পাসে লক্ষ্যভেদ করেন লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড। তাতে ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
৮৪ততম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জালে জড়াতে পারেননি গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তার ডান পায়ের নেওয়া কোনাকুনি শটটি পা দিয়ে আটকান পোর্তোর গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে আবারও সুযোগ মিসের হতাশায় ভোগে গানাররা। ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন বুকোয়ো সাকা। বক্সের সামনে গিয়ে ব্যাকপাস দেন ওডেগার্ডকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। ওডেগার্ডের শটটি বক্সের বাম পাস ঘেষে বেড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত খেলায় গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে এবং তারপর পেনাল্টিতে।
শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে ১৪ বছর পর এই প্রতিযোগিতার শেষ আটের টিকিট কাটল আর্সেনাল। এর আগে সাতবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি। তন্মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে তিনবার হেরে গানারদের স্বপ্ন ভাঙে। দুবার বার্সেলোনার বিপক্ষে এবং একবার করে তাদের বিদায় করেছে এসি মিলান ও এএস মোনাকো।