প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ০১:২৩ এএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম
আজ বাংলাদেশ-ভারত সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফাইনাল। ছবি : বাফুফে
গেল মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বিতর্কিত টসকাণ্ডের পর মীমাংসার একমাত্র পথ হিসেবে এটিকেই তখন বেছে নেওয়া হয়। এবার সাফের আরেকটি বয়সভিত্তিক (অনূর্ধ্ব-১৬) টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেই ভারতকেই পেয়েছেন লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। যে ফাইনালের আগে ঘুরেফিরে আসছে মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের মহানাটকীয় ম্যাচটি। প্রসঙ্গটা উঠেছিলে দেশ ছাড়ার আগে দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও। বাংলাদেশ অবশ্য জানিয়ে গেছে তারা আগের চেয়ে এবার আরও বেশি সতর্ক থাকবে। শেষ পর্যন্ত ট্রফি জেতাই মূল লক্ষ্য সেটা সরাসরি না বললেও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু। এবার এককভাবে শিরোপা ঘরে আনার চ্যালেঞ্জ বাংলার বাঘিনীদের।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারত এক ম্যাচ হারলেও দলটি আক্রমণভাগে শক্তি দেখিয়েছে। রবিন লিগের তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন প্রতিবেশী দেশটির খেলোয়াড়রা। সব মিলিয়ে এই পর্বে প্রতিপক্ষের জালে ১৩ বার বল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। দুই দলই গোল হজম করেছে একটি করে। আর তাই ফাইনালে দারুণ একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় কোচ সাইফুল বারী। জমজমাট ও উপভোগ্য ফাইনালই চাওয়া তার, ‘ফাইনাল সব সময়ই ফাইনাল। ভারত খুবই ভালো দল। তাদের আক্রমণভাগ শক্তিশালী। আমাদের খেলোয়াড়রাও সর্বোচ্চটা দিয়েছে। সেরা দুই দলই ফাইনালে উঠেছে। তাই ফাইনালে যেকোনো কিছুই হতে পারে। দুই দলের শক্তির জায়গাগুলোকে সম্মান দিতে হবে এবং একে অন্যের দুর্বলতা কাজে লাগাতে হবে। আমরা উপভোগ্য একটা ফাইনালের অপেক্ষায় আছি। মেয়েরা শিরোপা জেতার জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছে।’
আসরে তিনটি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন বাংলাদেশের সুরভী আকন্দ প্রীতি। ৫ গোল করে প্রতিযোগিতার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। এ ছাড়া ফাতেমা আক্তার, ক্রানুচিং মারমা, সাথী মুন্ডা, থুইনুই মারমা, আলপি আক্তার ও অপির্তা বিশ্বাস অর্পিতাও জালের দেখা পেয়েছেন একবার করে। ভারতীয় রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো আক্রমণভাগ আছে দলের। তবে শিরোপার লড়াইয়ে বেশ সতর্ক সুরভীদের কোচ, ‘এই বয়সের যে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করি, তাদের জন্য কৌশল ব্যবহার করাটা এত সহজ না। ওরা চায় সব ম্যাচে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে। এত গোল করার ক্ষেত্রে কৌশল বলে তো কিছু নেই, এটা তাদের নিজেদের কোয়ালিটি। তারা দেখাতে চায় যে তারা গোল করায় পারদর্শী। ফাইনালে স্নায়ুচাপের একটা ব্যাপার থাকে। খেলোয়াড়দের এটা মানিয়ে নিতে হবে। যারা কম ভুল করবে, তাদেরই এই ম্যাচে জেতার সুযোগ থাকবে।’
সাফের গত মাসের মতো এবারের আসরটিও হচ্ছে সেটির ধারাবাহিকতা মেনে। ওই আসরেও আফিদা খন্দকারের কাছে লিগ পর্বের ম্যাচে হেরেছিল ভারত। সেবার ১-০ গোলে হারার দলটিকে নেপালে হারতে হয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। অবশ্য ফাইনাল মঞ্চে এসব কিছু প্রভাব পড়বে না আশা করছে ভারত। বাংলাদেশকে হারিয়ে তারাও জিততে চায় একক শিরোপা।