বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ০০:০১ এএম
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৪ দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু ৪০তম পুরুষ ও ১৭তম মহিলা জাতীয় সিনিয়র ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা ও আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফকিরহাট উপজেলা অডিটোরিয়ামে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার (অব:) মহিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে.কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, ফেডারেশনের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন টিপু, বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরদার, জাতীয় ভারোত্তোলন দলের প্রশিক্ষক ও সাতশৈয়া ভারোত্তোলন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক বিশ্বাস আনিচুর রহমানসহ খেলোয়াড় ও স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
চার দিন ব্যাপী এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ১৭টি ক্লাব ও ৫টি সার্ভিসেস দলের ১২০ জন নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদ এতে অংশ নেয়। সার্ভিসেস দলে বাংলাদেশ সেনাবহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, আনসার ও জেল পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন। ১০ মার্চ সন্ধ্যায় এই প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন খেলোয়াড়রা।
নড়াইল থেকে আসা নারী ভারোত্তোলক ছনিয়া আক্তার বলেন, 'ফকিরহাটের এই আয়োজন অনেক ভালো লেগেছে। ভারোত্তোলনের মাধ্যমেই আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।'
দিনাজপুর থেকে আসা খেলোয়াড় কৌশিক সেন বলেন, 'খেলার উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো বাগেরহাটে এসেছি। আশাকরি এখানে ভালো করব।'
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য সুমনা রায় বলেন, 'আমি ৪৫ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেছি। ৫৩ কেজি ও ক্লিন্জার ৭০ কেজি লিফটিং করে আমি সেকেন্ড পজিশন অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রত্যাশা করছি।'
দক্ষিন এশিয়া গেমস ও কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়ণশিপে স্বর্ণপদক জয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, 'উপজেলা পর্যায়ে হলেও, আয়োজনটা আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। হল, ওয়ার্ম-আপ জোন, প্র্যাকটিসের জায়গা সবই খুব ভালো হয়েছে। আমিও এখানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আশাকরি এখানে রেকর্ড করতে পারব।'
জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক জাতীয় ভারোত্তোলন দলের প্রশিক্ষক বিশ্বাস আনিচুর রহমান বলেন, 'নানা ধাপে বাছাইয়ের পরে এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২০ জন ভারোত্তোলক অংশগ্রহণ করেছেন। একাধিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ভারোত্তোলকও রয়েছেন। আসলে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় আয়োজন এই প্রথম। ফকিরহাটে এই ধরণের আয়োজন করতে পেরে আমরা সবাই খুশি। এই প্রতিযোগিতার ফলে ফকিরহাট ও বাগেরহাটের মানুষ ভারোত্তোলনে আগ্রহী হবে।'
বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহসভাপতি উইং কমান্ডার (অবঃ) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা চাই ভারোত্তোলন এই খেলাটি আরও জনপ্রিয় হোক। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। উপজেলা পর্যায়ে এবারই প্রথম জাতীয় আয়োজন হয়েছে। আয়োজনটি সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে আগ্রহী অন্যান্য উপজেলায়ও এই ধরণের আয়োজন হবে বলে আশা করছি।'