প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ০৩:১৬ এএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১১:০৩ এএম
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে ফিলিস্তিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি সম্প্রতি রেকর্ড গড়েছে এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে দারুণভাবে টিকে আছে দলটি। খারাপ অবস্থানে নেই বাংলাদেশও। এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন। ২২ মার্চ মাঠে নামার আগে সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করছেন লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার রাতে তৃতীয় দিনের অনুশীলন সেশন শেষে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ঘুরেফিরে যেখানে উঠে এসেছে ফিলিস্তিনের ফরোয়ার্ড আতঙ্ক। যে কারণে নিজেদের রক্ষণভাগে মনোযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানিতে থাকা বাংলাদেশ দুই ম্যাচ খেলে একটি করেছে ড্র এবং অন্যটিতে হার। একই অবস্থা ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রেও। টেবিলের দুইয়ে থাকা লেবাননের পয়েন্ট ২। দুই ম্যাচে শতভাগ জয় নিশ্চিত করে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান অস্ট্রেলিয়ার। তাই গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে জায়গা পেতে বাংলাদেশের সঙ্গে লড়বে ফিলিস্তিন ও লেবানন। তার আগে ফিলিস্তিন ম্যাচকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি আরবে চলমান ক্যাম্পে রক্ষণের দৃঢ়তা বাড়াতে কাজ শুরু করেছেন কাবরেরা। সৌদির কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটি গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিনের অনুশীলনে রক্ষণভাগ নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘সবকিছুই খুব ইতিবাচকভাবে চলছে। দলও সবকিছুর সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছে, যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা। ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগ সামলাতে রক্ষণ নিয়ে কাজ করেছি। আক্রমণ প্রতিহত করা নিয়ে কাজ করেছি। সবকিছুই ভীষণ ইতিবাচক। কেবল সিনিয়র নয়, জুনিয়ররাও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ায় সবকিছু চলছে, প্রথম সপ্তাহের জন্য আমাদের যে পরিকল্পনা, তাতে আমি ভীষণ খুশি।’
গত বছর বিমানবন্দরে আলোচিত ‘মদকাণ্ডে’র পর জাতীয় দলে ফিরেছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তার অনুপস্থিতিতে পোস্ট সামলেছিলেন মিতুল মারমা। ফিলিস্তিন ম্যাচে রক্ষণভাগের পর গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে যেতে পারে মূল ঝড়। জিকো, মিতুল, মেহেদী হাসান শ্রাবণÑ এই তিনজনের মধ্যে কাবরেরা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে কাকে দিয়ে পোস্ট সামলাবেন সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় মিতুল জানালেন, কাবরেরার আস্থা অর্জনের জন্য গোলরক্ষক কোচ মিগেল আনহেল আনিদোর অধীনে অনুশীলনে শতভাগ নিংড়ে দিচ্ছেন তারা, ‘আমরা এখানে অনুশীলন অনেক উপভোগ করছি। কোচ নতুন নতুন টেকনিক নিয়ে কাজ করছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং সবকিছু উপভোগ করছি। জাতীয় দলে সব পজিশন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, এখানেও (জায়গা পাওয়ার) লড়াইটা বেশি। সবশেষ যে ম্যাচগুলোয় আমি খেলেছি, সে সময় জিকো ভাই ছিলেন না; উনি ফিরেছেন। সে হিসেবে এখানে আমাদের সামনে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। আমি চেষ্টা করব, নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে টিমে জায়গা করে নেওয়ার।’