প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ০৩:০৬ এএম
কিলিয়ান এমবাপে
রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে এমবাপে মঙ্গলবার রাতে ১০০ মিটার দৌড়ালেন। তার টাইমিং ১০.৯ সেকেন্ড। যা কিনা স্প্রিন্ট কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের বিশ্ব রেকর্ড গড়া দৌড়ের চেয়ে এক সেকেন্ডের সামান্য বেশি। ঘণ্টায় ৩৩.২৪ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন এমবাপ্পে। ২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উসাইন বোল্ট। এই রেকর্ড এবার ভাঙার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন এমবাপে।
এমন বিশেষ দিনে চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতের ম্যাচে পুরো সময়ই মাঠের লড়াইয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে তার আগে পিএসজির তিন ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলানো হয়নি এ মেগাস্টারকে। এতেই নানা গুঞ্জন উড়ে বেড়িয়েছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমের আকাশে। শোনা যাচ্ছিল, কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরায় এমনটা হচ্ছে। ফিট থাকলেও ম্যাচের টাইম পূর্ণ করতে পারছেন না এমবাপে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ শেষে সেসব উড়ো খবর উড়িয়ে দিয়েছেন এ স্টার প্লেমেকার। এমবাপে বলেছেন, কোচের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে ঠিক আগের মতোই, ‘লোকে যদি মনে করে যে কোনো সমস্যা চলছে, তাহলে বলতে চাই, তার সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমার সমস্যা আছে, কোচের সঙ্গে নয়।’
কোচ এনরিকও বললেন এমবাপের সুরে। সঙ্গে স্তুতি গাইলেন এমবাপের, ‘কোনো ফুটবলারের সঙ্গেই আমার কোনো সমস্যা নেই। যেকোনো কোচের সঙ্গে খেলেই এমবাপে মৌসুমে ৫০ গোল করতে পারে, ২৫ গোলে সহায়তা করতে পারে। আমার মতে, আক্রমণভাগে সে বিশ্বের সেরা ফুটবলার, বলা যায় অপ্রতিরোধ্য। আজকেও দেখিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে সে বল ধরে রাখতে পারে ও এরপর উন্মুক্ত মাঠে আক্রমণ করতে পারে।’
গত দুই মৌসুম ইউরোপের সেরাদের টুর্নামেন্ট থেকে একটু আগেভাগেই বিদায় নেওয়া পিএসজি এবার ছিল দারুণ সতর্ক। শেষ আটের টিকিট কাটতে পেরেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন যেন এমবাপে, ‘বরাবরই আমরা জানতাম যে নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই (২-০-তে এগিয়ে থাকলেও)। ওরা যদি শুরুতে গোল পেয়ে যেত, নিজেদের দর্শক সমর্থন পেয়ে আরও জোর দিতে পারত। আমাদের জন্য তাই জরুরি ছিল শুরুতেই ওদের আশা শেষ করে দেওয়া। সেটিই আমরা করেছি। আমরা কোয়ালিফাই করতে চেয়েছিলাম এবং জিততেও চেয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার, শুরুতে গোল করতে হবে। খুব বেশি চাপে তাই আমাদের পড়তে হয়নি, শেষদিকে একটু হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতে পেরে আমরা খুবই খুশি।’
মাঠের লড়াইয়ে দ্যুতি ছড়ান এমবাপে। চমৎকার পারফরম্যান্সে পান জোড়া গোল। তাতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে আবারও হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে নিজেদের নাম লিখেন কোচ লুইস এনরিকের শিষ্যরা। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সোসিয়েদাদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিজেদের করে নিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দলকে লিড এনে দেন ফুটবল সুপারস্টার এমবাপে। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। লড়াইয়ের শেষদিকে মিকেল মেরিনো স্বাগতিকদের হয়ে ১টি গোল শোধ করেন।