বাংলাদেশের আম্পায়ারের বিরুদ্ধে নালিশ করবে শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ৩.১ ওভার। বোলিংয়ে বিনুরা ফান্দার্নো। স্ট্রাইক প্রান্তে সৌম্য সরকার। শর্ট লেংথের বলে সপাটে পুল করেন বাংলাদেশের ওপেনার। বলটি তালুবন্দি করেন কুশল মেন্ডিস। মুহূর্তেই আঙুল তুলে ‘আউট’ হওয়ার ইঙ্গিত দেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। বটম-এজড হয়েছেন সৌম্য, এমনটাই ধারণা তার। বিষয়টি আমলে নেননি, আপিল করে বসেন সৌম্য। এরপর ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেকদূর। জানা গেছে, বাংলাদেশের আম্পায়ারের বিপক্ষে আইসিসির কাছে নালিশ করবে শ্রীলঙ্কা।

সৌম্য সরকারকে শেষ পর্যন্ত আউট দেননি থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। আউট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের আম্পায়ারের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা তাই নালিশ করবে। এই মুহূর্তে আইসিসির ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট সিলেটেও আছেন।

বুধবার বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বিতর্কের শুরু রিভিউ নেওয়ার পর। সৌম্য রিভিউ চাইলে মাঠের আম্পায়ার টিভি আম্পায়ার ‘রিভিউ’ চেকের সংকেত পাঠান। চেকে আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখায়। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের দাবি, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে ‘গ্যাপ’  দেখেছেন তিনি।

Breaking News ????

3 වන විනිසුරු ගේ තීරණයට එරෙහිව ශ්‍රී ලංකාව තරග තීරකට පමිණිල්ලක් ඉදිරිපත් කිරීමට නියමිතයි.

Sri Lanka Will Officially Complain to the Match Referee About TV Umpire's Decisions#sportspavilionlk #SLvBAN #SLvsBAN #BANvSL pic.twitter.com/Yj02gSzuFy

— DANUSHKA ARAVINDA (@DanuskaAravinda) March 6, 2024

বড় পর্দায় স্পাইক দেখে সৌম্য তো তখন মাঠ ছাড়ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান। যদিও এমন সিদ্ধান্ত মনঃপূত হয়নি শ্রীলঙ্কার। তাদের আফসোস করতে দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে সৌম্যর আউট নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কানদের সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ বলেছেন, ‘মাঠ আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। আমি জানি যে টিভি আম্পায়ারকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলে অকাট্য প্রমাণ লাগবে। এটা পরিষ্কার একটা স্পাইক ছিল। আমরা সবাই এটা বড় পর্দায় দেখেছি। আমরা ম্যাচ রেফারির কাছে বিষয়টি নিয়ে যাব যে আসলে এখানে কী হয়েছে। আমাদের কাছে ফুটেজ আছে সেটা দিয়ে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলোদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দিয়েছেন কৌশলী উত্তর, ‘আমি ওয়ার্ম আপ করছিলাম। এমনি কথা বলছিলাম। আউট বা ওই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলি নাই। ক্লিয়ারলি তো ওটা থার্ড আম্পায়ারের ডিসিশান ছিল, ফিল্ড আম্পায়ারের না। সো এটা নিয়ে মনে হয় না যে কোনো কমেন্ট করার প্রয়োজন আছে।’