প্রবা প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ০২:৪৪ এএম
জাকের ছিলেন মারমুখী, কিন্তু শেষটায় পারেননি— ছবি: বিসিবি
অথচ জাকের আলী অনিকের একাদশে থাকার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ৷ দলে যে থাকবেন, সেটাই কে ভেবেছিল৷ কিন্তু তিনি শুধু থাকলেনই না, নিজের ছাপও রেখে দিলেন৷ পুরোনো ডেরায় নতুন রূপে ফিরে জানান দিলেন, ‘রাজ করতে আসছি৷’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিধ্বংসী ব্যর্থ বীর বীরত্ব দেখিয়ে খুশি, তবে ততটা না৷
জাকের খুশি না কারণ বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে গেছে ৩ রানে৷ আফসোস বেশি হবারই কথা জাকেরের৷ লঙ্কান বোলারদের তুলোধুনো করার দিনে তুলির শেষ আঁচড় টানতে পারেননি৷ শেষ ৪ বলে যখন ১০ রান দরকার তখন ব্যর্থ হয়েছেন, দলও পারেনি৷ কিন্তু কারিশমা দেখানো জাকের জিতে নিয়েছেন কোটি দর্শকদের হৃদয়৷ দেখাচ্ছেন আশা, ভরসা কিংবা স্বপ্ন।
গতকাল সোমবার ম্যাচ শেষে সেই আশার কথা শুনিয়েছেন জাকের, ‘দেশের হয়ে জিততে পারলে আরেকটু ভালো লাগত। আমি ভেঙে পড়ব না। কীভাবে জেতা যায় পরের ম্যাচ, সেই চেষ্টা থাকবে।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুশি জাকের। ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৮ রান, জাকের লঙ্কান বোলারদের ওপর ব্যাট ঘুরিয়েছেন দুইশ স্ট্রাইক রেটে। তবে পুরোপুরি খুশি হতে পারছেন না তরুণ হার্ডহিটার, ‘যদি ম্যাচ জিততে পারতাম, তাহলে ১০-১২ রান করলেও বেশি খুশি লাগত। ভালো খেলেছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা যা দিয়েছেন। তবে ম্যাচ জেতাতে পারলে হয়ত আরও বেশি খুশি হতাম।’
বিপিএলে তাণ্ডব চালানো জাকেরকে নিয়ে আলোচনা জমছিল। কিন্তু শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কা সিরিজে তিনি ছিলেন না। পরে আলিসের চোটের কারণে ফিনিশার হিসবে দলে আনা হয়।
জাকেরের বিশ্বাস ছিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াবেন, ‘সবাইকেই বলতাম, আল্লাহতায়ালা যখন আমার জাতীয় দলে খেলার সময় লিখে রেখেছেন আমি তখন এমনিতেই খেলতে পারব। এটাই। আমার সুযোগ এসেছে। মানসিকভাবেও প্রস্তুত ছিলাম। শান্ত আমার সাথে কথা বলেছিল যে তোর কিন্তু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকিস। আমি প্রস্তুত ছিলাম।’