× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জাকের শো’য়ের পর হারের হতাশা

প্রবা প্রতিবেদক, সিলেট থেকে

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ২১:৫১ পিএম

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ২২:২৯ পিএম

জাকির আলি অনিক আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ অবধি পেরে ওঠেননি

জাকির আলি অনিক আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ অবধি পেরে ওঠেননি

দুহাতে রান খরচ করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা, শ্রীলঙ্কার বোলারদের ছেড়ে দেননি মাহমুদউল্লাহরাও। তাসকিন-মোস্তাফিজদের উপর লঙ্কানদের চড়াও হওয়ার দিনে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখেছে জাকের আলি অনিক শো। নির্বিষ বোলিংয়ে দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্য রোমাঞ্চ চড়িয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ৩ রানে হেরে তিন ম্যাচ সিরিজে পিছিয়েছে ১-০ ব্যবধানে।

সোমবার (৪ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬১ রান করেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন জাকের।

সিলেটে খেলা হলে স্টেডিয়াম সাধারণত যে রূপে সাজে, সেটি দেখা যায়নি শুরুতে। টিকিটের কড়াকড়িতে ছিল না দর্শকদের ছড়াছড়ি। কিন্তু সময় যেতে ম্যাচের মতো জমে উঠেছিল লাক্কাতুরার চাবাগান ঘেরা স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পেটানো লঙ্কানরাও পেয়েছিল দুইশ ছড়ানো পুঁজি। শেষের সমীকরণ মিলিয়ে দিতে পারলে হয়ত হতাশাও থাকত না, ‘ইশ্, জাকের যদি আউট না হতেন।’ স্রেফ দুটি বাউন্ডারি মিলিয়ে দিতে পারত সমীকরণ। শেষ ৪ বলে জিততে প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। জাকের পারেননি, ফিনিশার হিসেবে এসে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে আশা জাগালেও শেষে তা মেটাতে পারেননি। ৩৪ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার পরও জাকের বাংলাদেশকে জেতাতে পারেননি।

২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে আসা জাকের ৬টি ছক্কা মেরে লঙ্কান বোলারদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে দিয়েছিলেন। লঙ্কানদের ব্রাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে নাজুমুল হোসেন শান্তর দল পায় ২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য। জবাবে শুরুতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল ঠিকই। কিন্তু শেষে প্রতিপক্ষের ঝড়ে স্রেফ উড়ে যায় স্বাগতিকরা। ২০১৮ সালে এই মাঠে ২১০ করেছিল শ্রীলঙ্কা। যা এখন অবধি এই মাঠের সর্বোচ্চ ইনিংস। ছয় বছর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করলো। সেই ম্যাচের মতো গতকালও বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি ফল। শেষ রোমাঞ্চে স্নায়ু স্থির রেখেও ম্যাচটা জেতাতে পারেননি জাকের। ইনংসের শেষে বাঙলাদেশের প্রয়োজন ছিল শেষ ৬ বলে ১২ রান। আগের ৫ ওভারে ৭১ রান পাওয়া বাংলাদেশের হাতেই ছিল ম্যাচ। কিন্তু প্রথম দুই বলে কোনো বাউন্ডারি না আসায় সমীকরণ কঠিন হয়ে যায়। প্রথম বলে রিশাদ আউট হন। তাসকিন দ্বিতীয় বলে পান ১ রান। মাঝে একটি ওয়াইডও ছিল। তাতে জাকের ৪ বলে ১০ রানের সমীকরণ পান। কিন্তু তৃতীয় বলে ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেলে শ্রীলঙ্কা। শানাকার বলে জাকের উড়ালেও বল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা জমিয়ে নেন হাতে। নতুন ব্যাটসম্যান শরিফুল পরের বলে চার হাঁকলেও শেষ দুই বলে কেবল দুই রান নিতে পারেন শরিফুল ও তাসকিন। এক আকাশ অভিমান নিয়ে শেষ হয় বীরত্বের লড়াই।

কথায় আছে, সকালের সূর্য সব সময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না। সিলেটে এদিন প্রবাদটির প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোলিংয়ে শুরুতে ধারালো, মাঝে খাপছাড়া এবং শেষে হতশ্রী—তিনটি পর্যায় পার করেছে শরিফুল-মোস্তাফিজরা। আগ্রাসী বোলিংয়ে আশা জাগিয়ে শুরুর পর আশা থেমেছে নির্বিষ বোলিংয়ে আফসোস হয়ে। নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় যা শেষ পর্যন্ত আরও বেড়েছে। সিলেটে শান্ত যুগের শুরুতে বাংলাদেশ বোলিংয়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। একটু বিরতির পর ফেরেন সফরকারীদের অন্য ওপেনারও। এরপর টাইগারদের আশা হতাশা ঝড়িয়ে আক্ষেপ করে থামান প্রতিপক্ষ। ‍কুশল মেন্ডিসের পর ফিফটি হাঁকান সাদিরা সামরাবিক্রমা। বাংলাদেশ হতাশার ভারে পাথর চাপা দেন পাঁচে নামা চারিথ আসালাঙ্কা।

তিনটি পর্যায়ে নিজেদের স্কোরবোর্ডে রান পাহাড় জমা করে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের শুরুর ওভার থেকে ৬ ওভার অবধি, অর্থাৎ পাওয়ার প্লেতে ম্যাচের নাটাই ছিল বাংলাদেশের হাতে। ৭ থেকে ১৬ ওভার পর্যন্ত যেতে যেতে একটু একটু করে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নেয় লঙ্কানরা। আসালাঙ্কার শেষের ঝড়ে পাল্লার বাকিটা ঝুলে পড়ে সফরকারীদের কোর্টে। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলা দল ১৬ ওভারে তোলে ১৪২ রান। শেষ চার ওভারে মোস্তাফিজ-শরিফুলদের বেধড়ক পিটিয়ে আনে আরও ৬৪ রান। তাতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে দুইশ ছাড়িয়ে আরও ৬ রান পর্যন্ত জমা করে শ্রীলঙ্কা।

নির্বিষ বোলিং কাটানো দিনে টাইগারদের তিন পেসারের তিনজনই ওভারপ্রতি খরচ করেছেন দশের বেশি করে রান। দাপুটে শুরু আনা শরিফুল ৪ ওভার শেষে খরচ করেন ৪৭ রান। তাসকিন একটি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান। বোলিংযে সবচেয়ে বাজে দিন কাটিয়েছেন মোসাতাফিজুর রহমান। উইকেটের সম্ভাবনা জাগাতে ব্যর্থ হওয়া পেসার খরচ করেছেন ৪২ রান। শেষ ওভারে তাকে দুটি করে চার-ছক্কায় উড়িয়ে আসালাঙ্কা ও সামারাবিক্রমা নেন ২৪ রান। শ্রীলঙ্কাও পায় সিলেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। বাংলাদেশের শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান, শেষ ওভারে ১২। শেষে জাকের তা মেলাতে পারেননি। একরাশ দুঃখ পাওয়া হারই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা