প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ১১:২০ এএম
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ।। প্রবা ছবি
দেশের ক্রিকেটে জনপ্রিয় মুখ কোচ মোহাম্মদ
সালাউদ্দিন। লোকাল ক্রিকেটারদের কাছে এক আস্থার জায়গা এই কোচ। যেকোনো সময় সমস্যায় পড়লে
সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালসহ অনেক ক্রিকেটারই তার দ্বারস্থ হন। কোচ সালাউদ্দিনও তার
মেধা ও শ্রম দিয়ে শিষ্যদের ভুলক্রুটি ধরিয়ে দিতে কার্পণ্য করেন না। এমন একজন বাংলাদেশের
কোচ না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি। এরপর অবশ্য বিসিবি
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন নিজেই কোচ হতে চান না। এবার খোদ সালাউদ্দিন
নিজে জানালেন, জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে সহকারী হিসেবে যুক্ত হতে চান না তিনি।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ বিপিএলে সালাউদ্দিনের
অধীনে টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার দ্বারপ্রান্তে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু ফাইনালে
তার দল হেরে যায় ফরচুন বরিশালের কাছে। তবে তা সত্ত্বেও দেশি কোচদের মধ্যে তার সাফল্য
রীতিমতো ঈর্ষণীয়। অভিজ্ঞ এই কোচের অধীনে কুমিল্লা দলটি হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। প্রতি
আসরেই তারা শিরোপার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর কৃতিত্ব পাচ্ছেন সালাউদ্দিনই।
তবে শুধু বিপিএলেই নয়, নিজের অভিজ্ঞতা
জাতীয় দলের কাজেও লাগাতে চান সালাউদ্দিন। এর আগে সালাউদ্দিন ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত
জাতীয় দলের সহকারী কোচ এবং ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন।
তবে এখন আর সহকারী কোচের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন তিনি। জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি সেটআপের
প্রধান কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখতে চান তিনি।
সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের কোচ হতে না চাওয়া প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন
বলেন, ‘সত্যি বলতে, এখন আমার অন্য কারও অধীনে কাজ করার বয়স নেই এবং সহকারি কোচ হলে
আমাকে ছেলেদের উন্নতির জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করার পাশাপাশি অনেক সময় দিতে হবে। একটা
দল গোছানোর পেছনে সহকারি কোচের বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু এখন আমি এটা করতে পারবো না এবং
অন্য কারও অধীনে কাজ করার মানসিকতা এখন আর নেই।’
এখন জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন লঙ্কান
কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সাথে কাজ করতে না চাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে দেশের ক্রিকেটেরজনপ্রিয় এই কোচ বলেন, ‘(জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা) হাথুরুসিংহের ব্যাপারে আমি যা দেখেছি
ও বুঝেছি যে, অন্য কোচরা তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না এবং আমি যেমন মানসিকতার, তাতে
আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। অন্য কেউ যদি আমার কাজে প্রভাব খাটায় তাহলে আমার
জন্য কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়বে এবং আমি এমন নই। এ কারণেই আমি নাম দেইনি।’
‘বিশ্বকাপের পর কোচিং স্টাফদের প্রায়
অর্ধেক সদস্য চলে গেছে এবং আমি যতটুকু শুনেছি যে, তারা তার (হাথুরুর) সঙ্গে কাজ করতে
চায় না। যদি তারাই কাজ না করতে চায়, তাহলে আমি কীভাবে করবো। আমি ব্যাপারগুলো জানি এবং
আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। আর তা না হলে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হতে আমি অনিচ্ছুক।’-যোগ
করেন সালাউদ্দিন।