প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম
এফএ কাপে লুটন টাউনকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর্লিং হাল্যান্ড একাই করেন ৫ গোল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোলটি করেন হলান্ড। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ফেলেন ৪০ মিনিটের মধ্যে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি গোল পরিশোধ করে দেন লুটন টাউনের জর্ডান ক্লার্ক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্লার্ক আরও একটি গোল করে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। তবে ৫৫ ও ৫৮ মিনিটে হলান্ডের দুই গোলে উত্তেজনার সমাপ্তি। ৭২তম মিনিটে গোল করেন ম্যানসিটির মাতেও কোভাচিচ।
স্কোরশিটে নাম না থাকলেও ম্যাচের নায়কদের একজন ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনে। হাল্যান্ডের প্রথম ৪টি গোলেই সহায়তা করেন সিটির মাঝমাঠের এই প্রাণভ্রোমরা।
সাম্প্রতিক সময়ে একটু অচেনা চেহারাতেই ছিলেন হাল্যান্ড। সবশেষ ১১ ম্যাচ মিলিয়ে তার গোল ছিল ৫টি। পায়ের চোট কাটিয়ে ফেরার পর ৭ ম্যাচে করতে পেরেছিলেন ৩ গোল। কিন্তু এ দিন ফিরলেন তিনি স্বরূপে।
সেই ১৯৭০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জর্জ বেস্টের ৬ গোলের পর এই প্রথম এফএ কাপে এক ম্যাচে ৫ গোল করতে পারলেন কেউ। ম্যানসিটির হয়ে দেড় মৌসুম খেলে হাল্যান্ডের অষ্টম হ্যাটট্রিক এটি। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে এই স্বাদ পেলেন তিনি প্রথমবার। সিটির জার্সিতে এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন দ্বিতীয়বার। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিগের বিপক্ষেও করেছিলেন ৫ গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে
ম্যানসিটির হয়ে ৭৯ গোল হয়ে গেল তার স্রেফ ৮৩ ম্যাচেই।
লুটন টাউনকে ধ্বংস করার পর আইটিভিতে কথোপকথনে হাল্যান্ড জানালেন আপন রূপে ফেরার উচ্ছ্বাস, ‘নিজের সেরা ফর্মে ফিরছি আমি। অবশেষে খুব ভালো অনুভব করছি এখন। অসাধারণ অনুভূতি এটি। সামনে অপেক্ষায় রোমাঞ্চকর সময়। আরও আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আমরা।’
গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির অসাধারণ সাফল্য ও অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সের মূলে ছিল ডি ব্রুইনের সঙ্গে হাল্যান্ডের রসায়ন। এবার হাল্যান্ড যেমন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কিছুদিন, ডি ব্রুইনে তেমনি বাইরে ছিলেন লম্বা সময়। লুটন টাউনের বিপক্ষে দুজনের সেই বন্ধন আবারও ঝকমকে হয়ে উঠেছে দারুণভাবে। হাল্যান্ডের কণ্ঠেও সেই তৃপ্তির ছাপ, ‘কেভিন ডি ব্রুইনে অসাধারণ। সেটাই করছে সে, যেটা সবচেয়ে ভালো পারে। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা সন্তুষ্টির। আমরা খুব ভালো করেই জানি পরস্পরের কাছ থেকে কী চাই। আমরা স্রেফ একে অপরের দিকে তাকাই এবং খুব ভালোভাবে জমে ওঠে এটা।’
মাঝমাঠ ও আক্রমণের এই দুই তারকার জমাট বন্ধনের কথা আলাদা করে বললেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাও, ‘আর্লিং জ্বলে উঠেছে আর কেভিন ছিল নিখুঁত। তাদের এই সংযোগ দারুণ। কেভিনের মতে একজন ফুটবলার প্রয়োজন আর্লিংয়ের, তেমনি কেভিনেরও প্রয়োজন আর্লিংয়ের মতো একজনকে।’