বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৫ পিএম
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে অফ নিশ্চিত হলেও যদিকিন্তুর সুতোয় ঝুলছিল ফরচুন বরিশালের ভাগ্য। ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নাগালে রেখে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাইজুল-সাইফউদ্দিনরা। এরপর রান তাড়ায় সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ড্যাশিং এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান বিপিএলের ৪১তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর রান তাড়ায় তামিম ইকবালের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পর রিয়াদের ফিনিশিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-রিয়াদরা। বরিশালের এই জয়ে কপাল পুড়েছে খুলনার।প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বিজয়ের দল।
আগামী সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ হারলেও সেরা দুইয়ে থাকা আগেই নিশ্চিত করেছিল কুমিল্লা। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ৭ বলে ১ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। এরপর কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল।
২৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মায়ার্স। মুশফিক হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু ৪০ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক।
এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া
২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন মুশফিক। ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তরমিম। শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান।
শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের ৬ রান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে ব্যাটিং করছিলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও সুনীল নারিন। তবে দলীয় ২৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন নারিন (১৬)। এরপর ১২ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক লিটনও।
এরপর ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও (১)। ৬ বলে ১ রান করে তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মঈন আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ২৬ বল মোকাবিলা করে ২৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর মঈনকে সঙ্গ দেন রাসেল। কিন্তু ২২ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন মঈন। তার দেখাদেখি ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেলও। এরপর ম্যাথিউ ফোর্ড ০ এবং এনামুল ৩ রান করে আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন জাকের আলী।
শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১৬ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় কুমিল্লার ফ্র্যাঞ্চাইজি।