প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারের সঙ্গে মোসাম্মৎ সাগরিকা। ছবি : আলী হোসেন মিন্টু
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪-এর সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। ফাইনালে যোগ করা সময়ে তার একমাত্র গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এর আগে রবিন লিগের খেলাতেও সাগরিকার গোলে ভারতকে হারায় জুনিয়র বাঘিনীরা। সব মিলিয়ে যৌথ সর্বোচ্চ ৪ গোল করেন ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে উঠে আসা সাগরিকা। আর এই সুবাদে গোল্ডেন বলের গোল্ডেন বুটও পান এই টিন অ্যাজ সেনসেশন।
রবিবার বাফুফে ভবনের সামনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা হয়ে অনেক খুশি হয়েছেন বলে জানান সাগরিকা, ‘অনেক ভালো লাগছে যে অবশেষে আমরা ট্রফি পেয়েছি। ভালো লাগছে যে আমি সেরা প্লেয়ার, সেরা গোলদাতা হয়েছি।’ এত দিন পর ট্রফি হাতে পেলেন, সেটার জন্য কতটা অপেক্ষায় ছিলেন কিংবা কোনো উৎকণ্ঠায় ছিলেন কিনা? সাগরিকার জবাব ছিল, ‘সত্যি খুব খুশি লাগছে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পেয়েছি। অপেক্ষায় ছিলাম কবে ট্রফি পাব। এখন ভালো লাগছে।’ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েই থামতে চান না সাগরিকা। এগিয়ে যেতে চান আরও বহু দূর, ‘ভালো করলে সামনে আরও ভালো কিছুর সুযোগ আসবে। যদি ভালো কিছু না করতে পারি তাহলে আসবে না। ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু করব, আমাকে পরিশ্রম করতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না, আমাকে হাল ধরে রাখতে হবে।’
অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে রাঙ্গাটুঙ্গীর সেই সাগরিকা এখন সাফের সেরা খেলোয়াড়। সপ্তাহ তিনেক আগেও যাকে কেউ চিনত না এখন বাংলাদেশের আনাচকানাচে সাগরিকার জয়গান। এ নিয়ে অনুভূতি জানতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আগের সাগরিকা আর এখনকার সাগরিকার মধ্যে পার্থক্য কী? হাস্যোজ্জ্বল সাগরিকার সরল স্বীকারোক্তি, ‘খেলার আগে কেউ সাগরিকাকে চিনত না, খেলার পর এখন সাগরিকাকে সবাই চেনে।’
কমলাপুরে ৮ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামানো হলেও সাগরিকার ওপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। শেষ পর্যন্ত তিনি আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। তবে মাঠে তার ওপর ভরসা রেখেছিলেন অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ‘সত্যি বলতে ও (সাগরিকা) আমাদের দলের সেরা স্ট্রাইকার। ওর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। ওর ফিনিশিং, অনুশীলন দেখেই ওর ওপর বিশ্বাস জন্মেছিল। কিছু একটা হবে, ও গোল করবে। কেননা ফাইনালের আগের ম্যাচগুলোতেও ও আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে।’ আর ফাইনালে সাগরিকার সেই গোলটিই বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। আসরে চার গোল করা সাগরিকার কাছে যে গোলটি সেরা। বলেছেন সাগরিকা নিজেই।
নির্দিষ্ট করে পরবর্তী কোনো লক্ষ্য ঠিক করেননি সাগরিকা। তবে বয়সভিত্তিক পেরিয়ে আপাতত তার চোখ সিনিয়র দলে। যদিও সেখানে স্ট্রাইকার হিসেবে তহুরা খাতুন, সামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনারা আছেন। তাদের সঙ্গে খেলতে পারাটা কেমন হবে জানতে চাইলে সাগরিকা বলেন, ‘অবশ্যই সেখানে (জাতীয় দল) যাওয়াটা কঠিন। আপুরা সিনিয়র, আমি জুনিয়র। তারা তো অনেক ভালো খেলেন, এখন আমাকেও অনেক পরিশ্রম করতে হবে ভালো খেলতে হবে।’