প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০২ পিএম
১০ দিন পর ট্রফি হাতে পেল বাংলাদেশ দল - ছবি: আলী হোসেন মিন্টু
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে মহানাটকীয় ফাইনাল শেষে বাংলাদেশ ও ভারতকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। ম্যাচ কমিশনারের টসকাণ্ডে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা ছাড়া ফাইনালের দিন অন্য কোনো পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি। সেদিন ভারতকে ট্রফিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার ১০ দিন পর একই রকম আরেকটি ট্রফি বুঝে পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।
আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনের মাঠে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী ফুটবলারদের হাতে এই ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছে। সাফের এই আয়োজনে বেশ মুঠোভরে পেয়েছেন সাগরিকা। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারের পাশাপাশি এই উঠতি ফরোয়ার্ড পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারেও আলাদা করা যায়নি দুই দলকে। পাঁচ শটের টাইব্রেকারে দুই দলের সবাই জালের দেখা পাওয়ার পর সাডেন ডেথেও ছয় জন করে লক্ষ্যভেদ করেন। ফলে ১১-১১ শটেও ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়নি।
এরপর আচমকাই ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া রেফারিকে ডেকে নিয়ে টসের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত দেন। মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে ভারত জিতে যাওয়ার পর বাইলজের প্রসঙ্গ টেনে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। পরে অনেক আলোচনার পর যৌথভাবে দুই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
ফাইনালের পরই ভারত দল দেশে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রফি নিয়ে যায়। ১০ দিন পর ট্রফি বুঝে পেল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৪টি করে গোল করেন তিনজন ফুটবলার-সাগরিকা এবং ভারতের পূজা ও শিবানি দেবি। তিন জন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন।
নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। এরপর রাউন্ড রবিন লিগে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে হারানো ম্যাচে জয়সূচক গোলটিও করেন তিনি। ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বাংলাদেশকে সমতার স্বস্তি এনে দেন সাগরিকা। টুর্নামেন্টজুড়ে আক্রমণ ভাগে দ্যুতি ছড়ানো এই ফরোয়ার্ড তাই হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়।
টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার খবরটা আজ সকালেই পেয়েছেন সাগরিকা। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ‘আজ সকালেই জেনেছি, আমি সর্বোচ্চ গোলাদাতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছি। টিভিতে নাকি আব্বা-আম্মা আগে দেখেছিল, কিন্তু তারাও আমাকে কিছু বলেনি। আমি জেনেছি আজ সকালে। এই পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব-১৯) এটা আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। দুই পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।’