প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৫ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
বর্তমানের মেসির সঙ্গী শৈশবের মেসি
সময়টা খুব একটা ভালো কাটছে না। এখন প্রশ্ন হলো, কাদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না? উত্তরটা না হয় দিয়ে দেওয়াই যায়। কথাটা আসলে লিওনেল মেসির কোটি কোটি ভক্ত-অনুরাগীদের বেলায় বেশ খাটে। বিশেষ করে এই সময়ে। কেননা প্রাক-মৌসুমটা যে মোটেই সুখে কাটছে না ইন্টার মিয়ামির। হার আর ড্র-ই যেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের ক্লাবটির নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যারা মেসির ভক্ত। এটা না বললেও চলে যে, তারা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ জয়ী এ মেগাস্টারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির অনুসারী। বার্সেলোনা থেকে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)-মেসি যেখানেই গেছেন তার সমর্থকদেরও সঙ্গী করে নিয়েছেন। তাই ফ্লোরিডায় নতুন ঠিকানা গড়লেও সেই ধারার ব্যত্যয় ঘটেনি।
প্রিয় ফুটবলার কোথায় যাচ্ছেন। কোথায় খেলছেন। ম্যাচের ফল- সবই যে তার ভক্তকুলের জানা। সেটা তারা জেনে নেন মেসিকে ভালোবেসেই। কিন্তু নতুন মৌসুম মাঠে গড়ানোর আগে সুপারস্টার মেসি যে সাপোর্টারদের খুশির বার্তা দিতে পারছেন না বললেই চলে। হংকং ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই হারের তেতো স্বাদ হজম করতে হয়েছে, নতুবা সঙ্গী হয়েছে হোঁচটের হতাশা।
মেসির শৈশবের ক্লাব নিওয়েলস অ্যান্ড বয়েজের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইন্টার মিয়ামি। লড়াই মাঠে গড়ানোর আগেই মেসির ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিওয়েলস লিখে দিয়েছিল, ‘স্বপ্নের রাত’। গ্রাফিকসে বানানো ছবিতে ছিলেন দুই সময়ের মেসি। মিয়ামির জার্সি গায়ে এই সময়ের মেসি, নিওয়েলসের জার্সি গায়ে জড়ানো শৈশবের মেসি। যারা হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। টুইটারে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিউওয়েলস মেসিকে দিয়েছে ‘রাজা’র আসন। ‘হাই কিং’ লিখে মেসির ছবিও পোস্ট দিয়েছে নিওয়েলস।
মেসির জন্য নিঃসন্দেহে ম্যাচটি আবেগের। বাল্যকালের ক্লাবের বিপক্ষে খেলে খানিকটা হলেও ইমোশনাল হয়েছেন বৈকি মেসি! এ কারণেই হয়তো মাঠের লড়াইটা থেকে গেছে অমীমাংসিত। মিয়ামির মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামের দারুণ এই ম্যাচের ফল- ইন্টার মিয়ামি ১-১ নিউওয়েলস। কেউ হারেওনি। আবার কেউ জেতেওনি। রূপক অর্থে মেসির ‘বর্তমান’ আর ‘শৈশব’ যেন থেকে গেল সমানে সমান।
মাঠের দর্শকদের কৌতূহল ছিল মেসিকে ঘিরে। বিশ্বজয়ী এ ফুটবল মহাতারকাকে মাঠে দেখতে সবাই উন্মুখ ছিলেন। সতীর্থদের সঙ্গে প্রবেশ করতেই সবাই করতালি দিয়ে অভিবাদন জানায় মেসিকে। ম্যাচের ৬০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। গোলের সুযোগ পেয়েও মিস করেন। পরে মেসি মাঠ ছাড়লে মিয়ামিকে গোল এনে দেন স্নেইডার বোরগেলিন। পরে নিউওয়েলসকে সমতাসূচক গোল এনে দেন ফ্রাঙ্কো দিয়াস।