প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৩ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব হারালেন ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান; ফাইল ছবি
এশিয়ান কাপের সেমিফাইনাল থেকে দক্ষিণ
কোরিয়ার বিদায়ের পর থেকেই গুঞ্জনটা চলছিল। জর্ডানের বিপক্ষে হারের সেই ম্যাচের আগে
খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারির ঘটনার জন্যও সমালোচিত হয়েছিলেন দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান।
এরপর তাকে ছাঁটাইয়ের জন্য সুপারিশ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (কেএফএ) জাতীয়
দল পরিচালনা কমিটি। অবশেষে সেই গুঞ্জনটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোচের
পদ হারিয়েছেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই স্ট্রাইকার।
ক্লিন্সমানের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন কেএফএ সভাপতি চুং মং-গাইয়ু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশদ পর্যালোচনার পর জাতীয়
দলের কোচ পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএফএ। দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে নেতৃত্ব,
ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত জায়গায় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে যেমনটা প্রত্যাশা ছিল, ক্লিন্সমান
তা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধান কোচ হিসেবে ক্লিন্সমানের আচরণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক
মানসিকতা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও তা পূরণ হবে না বলে সবাই মনে
করছেন। এ কারণে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে আমরা নেতৃত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পর্তুগালের পাওলো
বেন্তোর জায়গায় দক্ষিণ কোরিয়া কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ক্লিন্সমান। কোচ হয়ে আসার পর
দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৪ বছর পর এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিতে চেয়েছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ
ও যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক কোচ। কিন্তু এক বছরের মাথায়ই ছাঁটাই হলেন ৫৯ বছর বয়সি এই কোচ।
তার সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল কেএফএর।
খেলোয়াড় হিসেবে নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন ক্লিন্সমান। জার্মানির হয়ে ১০৮ ম্যাচে ৪৭ গোল করা সাবেক এই স্ট্রাইকার ১৯৯০ বিশ্বকাপের পাশাপাশি ১৯৯৬ সালে ইউরোও জিতেছেন। তবে কোচ হিসেবে নিজেকে তেমন উচ্চতায় তুলতে পারেননি এই জার্মান। নিজ দেশের জাতীয় দল, বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবের দায়িত্বে থেকেও ছিলেন শিরোপাহীন। যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে ২০১৩ সালে শুধু গোল্ড কাপ জিততে পেরেছেন। এরপর হার্থা বার্লিন ঘুরে গত বছর দায়িত্ব নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার।