প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৬ পিএম
বেতন-ভাতা নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ফিফায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন উজবেকিস্তানের ফুটবলার ওতাবেক ভালিজোনভ। ওই ঘটনার পর বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিল শেখ জামাল। ১১ ডিসেম্বর ফিফার কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর ওতাবেকের পাওনা পরিশোধ করে ধানমন্ডির ক্লাবটি। ওতাবেকের পাওনা পরিশোধ করায় ক্লাবটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাওয়া এক মেইলে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ব্যাপারটি জানতে পারে শেখ জামাল। এর আগে ফিফার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিষটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শেখ জামাল ক্লাব ঘরোয়া ফুটবলে কোনো বিদেশিকে নিবন্ধন করতে পারবে না। এ ব্যাপারে ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনেও নিষেধাজ্ঞা আসত। যদিও তা কার্যকর হতো অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে। এখন অবশ্য সেই প্রশ্ন আসছে না। ওতাবেককে পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ক্লাবের এক সূত্র জানিয়েছেন, ওতাবেককে গত সোমবারই পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। পর দিন ওতাবেক তার আইনজীবীর মাধ্যমে ফিফাকে অর্থ প্রাপ্তির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
ওতাবেক গত মৌসুমে ছিলেন শেখ জামালে। ক্লাবে তার বেতন ছিল মাসে সাড়ে ৮ হাজার ডলার। এ মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলছেন তিনি। এর আগে গত জুনে প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিকে মায়ের অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন ওতাবেক। লিগে তখনও ম্যাচ বাকি ছিল তিনটি। শেখ জামালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, মে পর্যন্ত ওতাবেকের বেতন পুরোপুরি পরিশোধ করা ছিল। কিন্তু তিনি ১০ দিনের ছুটি শেষ করে ক্লাবে ফেরত আসেননি। শেখ জামাল তাকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল। ওতাবেক এর পরপরই ক্লাবের কাছে তার দুই মাসের বেতন বাবদ ১৭ হাজার ডলার দাবি করেন। এ ব্যাপারে তিনি ফিফার কাছে অভিযোগও করেন। এর পরই ফিফা গত ডিসেম্বরে শেখ জামালের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দেয়।