প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৭ এএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
রেকর্ড গড়ে, ভেঙেও যায়। ক্ষণিকে, কখনও থিতু হয় অনেক দিন। অমর হয়নি কোনো রেকর্ড। হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের গড়া ২০২০ সালের রেকর্ডটিও। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি স্কোয়াডের রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ক্লাব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ’-এর প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যানইউর খরচ ছিল ১৪২ কোটি ইউরো। তারা ভেঙে দেয় রিয়ালের ১৩৩ কোটি ইউরো ব্যয়ের রেকর্ডটি। রিয়ালে তখন বড় দলবদল ফির খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড, ফারলা মেন্দি, লুকা জোভিচ, এডার মিলিতাও এবং রদ্রিগোরা। ওই মৌসুমে বড় অঙ্কের দলবদল চুুক্তিতে রেড ডেভিল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ১০ কোটি ইউরোতে কেনা আন্তনি। এছাড়াও দলে ছিলেন ৯ কোটি ৩০ লাখ ইউরোতে কেনা হ্যারি মাগুয়ার, সাড়ে ৮ কোটি ইউরোতে কেনা জেডন সাঞ্চো, ৭ কোটিতে কেনা কাসেমিরো, সাড়ে ৫ কোটিতে কেনা ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং ৫ কোটিতে কেনা অ্যান্থনি মার্শিয়ালরা। তবে ইউরোপের সবচেয়ে দামি দল নিয়েও মৌসুমটা ভালো কাটেনি ম্যানইউর। প্রিমিয়ার লিগে টেন হাগের দল মৌসুম শেষ করে তৃতীয় স্থানে থেকে। শিরোপা জেতা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকে তারা।
প্রিমিয়ার লিগে সেবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যের স্কোয়াড গড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। এ ছাড়া সর্বশেষ হিসাবে ১০০ কোটি ইউরোর দামি ক্লাবের তালিকায় উঠে এসেছে চেলসি। ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ইউরো। ওই স্কোয়াড নিয়ে ২০২৩ সালে ট্রেবল জেতে সিটিজেনরা। একই সময়ে লিগের পয়েন্ট টেবিলে ১২তম স্থানে থাকা চেলসি স্কোয়াডের দাম ছিল তৃতীয় সর্বাচ্চ ১০৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ২০২২ সালে ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকায় সবচেয়ে ৮৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো আয় করেছে রিয়াল। ম্যানসিটি ৮৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরো, বার্সেলোনা ৮১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ও পিএসজির আয় ৮০ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। ২০২২-২৩ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আয় করা ২০ ক্লাবের মধ্যে ৯টিই ছিল প্রিমিয়ার লিগের। যাদের গড় আয় ছিল ৩২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো।
আয়ের দিকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল স্পেনের লা লিগা, যাদের আয় ৩৩০ কোটি ইউরো। এরপর যথাক্রমে জার্মানির বুন্দেসলিগা (৩২০ কোটি), ইতালির সিরি’আ (২৪০ কোটি) ও ফ্রান্সের লিগ ওয়ান (২০০ কোটি)।