প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৮ পিএম
লক্ষ্য আকাশছোঁয়া। জয় পেতে গড়তে হতো রেকর্ড। দুর্দান্ত এগিয়েও মাঝপথে খেই হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ২৩৯ রানের টার্গেটে ৭৩ রানের আগেই থেমেছে বন্দরনগরীর দল।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝোড়ো ফিফটির পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন মঈন আলী। দশম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। বিপিএলের ইতিহাসে হ্যাটট্রিকধারীর তালিকায় এখন তিনি অষ্টম স্থানে। চলতি আসরে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।
এদিন উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরি (১০৮*), লিটন দাসের ৬০ এবং মঈন আলীর (৫৩*) ওপর ভর করে রান পাহাড়ে চড়ে কুমিল্লা। জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও একটা সময় খেই হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। প্রথম উইকেটের পর ক্রমান্বয়ে উইকেট হারাতেই থাকে তারা। এবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল পূর্ণাঙ্গ ওভার শেষ করে আসতে পারেনি শুভাগত হোমরা। বিশেষ করে ১৬ ওভারে টপাটপ তিন উইকেট তুলে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মঈন।
বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক আসে ২০১২ সালে। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামি হাত ধরেই শুরুটা। দ্বিতীয়টি অবশ্য বাংলাদেশি পেসার আল আমিন হোসেনের। বরিশাল বুলসের হয়ে ২০১৫ সালে হ্যাটট্রিকধারীদের তালিকায় নাম লেখান। হ্যাটট্রিক অর্জন হয়েছে আলিস ইসলামের, ওয়াহাব রিয়াজ, আন্দ্রে রাসেল এবং মিতৃঞ্জয় চৌধুরি। এ যাত্রায় সবশেষ অর্জনটি মঈন আলীর। হ্যাটট্রিকের দিনে ৩.৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার।