প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৮ এএম
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে কাতার। সংগৃহীত ছবি
ফাইনালে এক, দুই করে তিনটি পেনাল্টি পেল কাতার! তিনটিকেই গোলে রূপ দিলেন আকরাম আফিফ। দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে কাতার। তাতে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখল দেশটি।
প্রথমার্ধে আফিফ স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামাত। পরে আফিফের আরও দুই পেনাল্টি গোলে জয় তুলে নেয় কাতার।
পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।
২০ মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়।
কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না।
জর্ডানের স্বস্তি উবে যায় ছয় মিনিট পরই। বক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ।
১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে।
কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ।