প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১০ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩০ পিএম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডে শনিবার ভিন্ন ম্যাচে জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি এবং চট্টগ্রাম আবাহনী। ফর্টিস এফসির বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। শেখ রাসেল কেসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বন্দর নগরীরর ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনী। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে।
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ৬৩তম মিনিটে সাজ্জাদ হোসেনের একমাত্র গোলে ব্যবধান গড়ে দেয়। আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে হেরে কিছুটা বিপাকেই ছিল শেখ জামাল। এই জয়টা তাদের জন্য স্বস্তিরই বটে। তবে শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেছেন শেখ জামালের ফরোয়ার্ড আতিকুর রহমান ফাহাদ।
মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ভালোই পরীক্ষা দিতে হয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ম্যাচের তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ৬১ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে সোহেল রানা ও রাজু উদ্দিনের গোলে খেলায় চালকের আসনে বসে বন্দরনগরীর দলটি। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে এক গোল পরিশোধ করেন শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড সুলেমানে ল্যান্ড্রি।
লিগের সপ্তম রাউন্ড শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পঞ্চম স্থানে জায়গা পেয়েছে শেখ জামাল। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পথচলা পুলিশের এটি চতুর্থ হার। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে সপ্তম স্থানে। বিবর্ণতার খোলসে বন্দি থাকা শেখ রাসেল ৬ পয়েন্ট নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে লিগের অবনমন অঞ্চলে। তাদের নিচে আছে কেবল ব্রাদার্স ইউনিয়ন; তাদের পয়েন্ট তিন। শনিবার লিগে হোচট খাওয়ায় শিরোপার দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান। শনিবার পুলিমের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে শীর্ষস্থান পোক্ত করল কিংস। অস্কার ব্রুজনের দলের পয়েন্ট এখন ১৮, মোহামেডানের ১৫। আবাহনী ১৩ পয়েন্ট রয়েছে এই তালিকার তিনে।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে সপ্তম মিনিটে মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় কিংস। বক্সের অনেকটা নিচে থেকে তপু বর্মণের বাড়ানো লম্বা ক্রস থেকে বাঁ পায়ের দৃষ্টিনন্দন ভলিতে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিব হোসেন। চলতি লিগে এটি তার চতুর্থ গোল। সাত মিনিট পর রবিনিয়োর থ্রু পাস ধরে গোলের খাতা খোলেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার আসরোর গফুরভ।