প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৫ পিএম
এশিয়ান কাপ ফাইনালে লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কাতার ও জর্ডান মাঠে নামবে দুই রকম স্বপ্ন নিয়ে। ফাইনাল পর্যন্ত আসার পথেই ইতিহাস গড়েছে জর্ডান। মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা এবারই তারা পেরিয়েছে প্রথম। ফাইনাল জিতলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮৭ নম্বরে থাকা দেশটির গল্পটা রূপকথার চেয়ে কম কিছু হবে না।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৮ নম্বর কাতারের জন্য অবশ্য এটা খুব চেনা মঞ্চ। এই টুর্নামেন্টে তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ২০০৪ সালে জাপানের পর প্রথম ও সব মিলিয়ে পঞ্চম দেশ হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ তাদের সামনে। কাগজে-কলমেও বেশ এগিয়ে জর্ডানের চেয়ে, আর নিজের মাঠে ফাইনাল খেলার বাড়তি সুবিধা তো আছেই।
তবে ফাইনালের মঞ্চে পা রাখার পথে কাগজ-কলমের এমন অনেক হিসাবই ভুল প্রমাণ করেছে জর্ডান। শেষ ষোলতে ইরাক ও সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার দুই পরাশক্তিকে হারিয়েছে তারা। লেফটব্যাক সালিম-আল-আজালিন ফাইনালের আগে বলেছেন, ‘আমরা পুরো দল একই হৃদয়, একই আত্মা হয়ে খেলি। এতটাই ঐক্যবদ্ধ আমরা।’
অথচ এই জর্ডানই গত বছর সাতটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি। হেরেছে ছয় ম্যাচেই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলের মরোক্কান কোচ হুসেইন আম্মোতাকে ছাঁটাই করার দাবিও উঠেছিল তখন। এশিয়ান কাপে এসে সমালোচকদের একটা জবাব দিতে চান আম্মোতা, ‘এটা আমার জন্য ব্যক্তিগত একটা চ্যালেঞ্জও ছিল। আশা করছি, ফাইনালের প্রথম বাঁশি বাজার পর থেকেই আমরা তৈরি থাকব এবং সমালোচকদের আরও একবার জবাব দিতে পারব।’