এএফসি এশিয়ান কাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৯ পিএম
এশিয়ান কাপের রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান। চলতি আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইরান৷ দুই পরাশক্তির মাঠের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিই হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর ইনজুরি সময়েও দুই দল ছিল সমতায়। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে ম্যাচের ভাগ্য -এমনটাই ভাবনা ছিল দুই দলের সমর্থকদের। কিন্তু হঠাৎ নিজেদের বক্সে ভুল করে ইরানের হোসেন কানানিকে ফেলে দেন জাপানি ডিফেন্ডার কো ইতাকুরা। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টির সংকেত দেন। এরপর স্পট কিক থেকে গোল করে ইরানকে উৎসবে মাতান অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবখশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কাতারের আল রিয়ান এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে চলমান এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল জাপান ও ইরান। যেখানে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ইরান। একই সাথে ২০০৫ সালের মার্চের পর এই প্রথম জাপানের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে ইরান। আর তাতেই টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজেয় থাকল মধ্যপ্রাচ্যের পরাশক্তির এই দেশটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিল জাপান। তবুও গোল পেতে ২৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। ইরানের চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করে ব্লু সামুরাইদের এগিয়ে দেন হিদেমাসা মরিটা। প্রথমার্ধে এই লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় জাপান।
বিরতি থেকে ফিরেই সমতায় ফেরে ইরান। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সতীর্থের পাস থেকে বক্সে বল পেয়ে গোল করে ইরানকে সমতায় ফেরান মোহাম্মদ মোহেবি। এরপর দুই দলই প্রাণপণ লড়াই করলেও নির্ধারিত সময়েত ৯০ মিনিট পর্যন্ত বল জালে জড়াতে পারেনি।
এরপর যোগ করা সময়ে স্পটকিক থেকে জাহানবখশ বল জালে পাঠালে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইরানের। রেফারি ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজাতেই ইরানের খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে এসে জয়োল্লাস করতে থাকেন। কারও চোখে দেখা যায় আনন্দাশ্রু জল।
এশিয়ান কাপে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার শিরোপা জিতেছে ইরান। ১৯৬৮, ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে টানা তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এরপর অবশ্য আর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি ইরান। সেরা সাফল্য গত আসরে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া। এবার তাদের সামনে আরও একবার ফাইনালে খেলার হাতছানি।