প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৬ পিএম
সন হিয়ুং-মিন। ছবি : সংগৃহীত
খেলার নির্ধারিত সময়ের পর জয় দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। কেননা ৯০ মিনিট শেষেও গ্রাহাম আর্নল্ডের দল এগিয়ে ছিল ১-০ ব্যবধানে। শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় ছিলেন তার দলের ফুটবলাররা। কিন্তু বিপত্তি বাধে লুইস মিলালের ফাউলে। পেনাল্টি পায় দক্ষিণ কোরিয়া। যোগ করা সময়ের ৬ মিনিটের মাথায় স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান কোরিয়ার হাওয়াং হি-চ্যান। অস্ট্রেলিয়ানদের হতাশা সেখানে শেষ হলেও হয়ত হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারতেন। যোগ করা সময়ে সন হিয়ুং-মিন গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত টটেনহ্যাম হটস্পার তারকার গোলেই অস্ট্রেলিয়ার হাসি ছিনিয়ে নেয় ইয়ুর্গেন ক্লিনসম্যানের দল।
শুক্রবার রাতে আল জনউব স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে সেমিফাইনালে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। এগিয়ে থেকেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। যদিও শুরুটা হয়েছিল ডিমেতালে। ৪২ মিনিটে ক্রেগ গডউইনের গোলে এগিয়ে যায়া অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যাবর্তনের জয়ে প্রতিশোধও যেন নিল কোরিয়া। যদিও ২০১৫ সালের এশিয়ান কাপের ফাইনালের হারের সঙ্গে এটা মেলানো একদমই ঠিক হয় না। সেবার অতিরিক্ত সময়ে সমান ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ মুহূর্তের এই জয়েই ৬৪ বছরে অপেক্ষা ফুরানোর সুযোগ পাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এবারের টুর্নামেন্টে অতিরিক্ত কিংবা যোগ করা সময়ে ম্যাচ জয়কে নিয়মে পরিণত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত খেলা একটি ম্যাচই শুধু নির্ধারিত সময়ে জিতেছেন তারা। বাহরাইনের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জয়ের পর টানা চার ম্যাচ হয় অতিরিক্ত সময়ে, নয়তো যোগ করা সময়ে জিতেছে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে শেষ চারের ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না সন। তার চোখ শিরোপায়, ‘দোহায় চার দলের খেলা বাকি রয়েছে। আর শুধু একটি দল ট্রফি জিততে যাচ্ছে। ক্লান্তি, যাই হোক...কোনো অজুহাত নেই। আমরা ট্রফি জিতে দেশে ফেরতি চাই।’