বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৩ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে গত আসরে ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারও শক্তিশালী দল গড়ে শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে ঘটছে ঠিক তার উল্টো ঘটনা। এখন পর্যন্ত আসরে ৪ ম্যাচ খেলে জয়ের মুখ দেখতে পায়নি তারা। সবশেষ ঘরের মাঠে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের বিপিএলের ১৩তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর জবাব দিতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসের জোড়া ফিফটিতে ১৭ ওভার ৪ বলে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল সিলেট। তবে দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে সিলেটকে কোনঠাসা করে দেন ওমানের পেসার বিলাল খান। তার সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ৭ বলে মাত্র ৫ রানে থামে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ইনিংস। তার আগে একই ওভারে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনকেও (১) বোল্ড করেন বিলাল। এরপর শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দলের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজনের জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান।
গত ম্যাচের মতো এদিনও দারুণ খেলছিলেন জাকির। ১১তম ওভারে নিহাদউজ্জামানকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তরুণ এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন তিনি। অপরপ্রান্তে থাকা টেক্টর বেশ খানিকটা সময় ক্রিজে টিকে থাকলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না। একবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে সেই বিলাল খানের বলে লেগ সাইডে আভিস্কা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দিয়ে কাটা পড়েন তিনি। বিদায়ের আগে ৪২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করেন এই আইরিশম্যান।
রায়ান বার্লের কাছ থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের আশা ছিল সিলেটের। কিন্তু শেষের দিকে এসে ঝড় তুলতে পারেননি এই জিম্বাবুইয়ান। ফলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও ২৯ বলে ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আরেক অপরাজিত ব্যাটার আরিফুল ইসলাম ১২ বলে ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করেছেন। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন বিলাল খান। আর একটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নিহাদুজ্জামান।
১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আভিশকা ফার্নান্দো। কিন্তু ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করা এই লঙ্কান ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। দলিয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুস। এই দুই ব্যাটারের ৮৯ রানের জুটিতে সহজ জয়ের পথেই ছিল ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু ফিফটি হাকিয়েই হ্যারি টেক্টরের বলে আউট হয়ে যান জুনিয়র তামিম। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ২ ছক্কার মার।
তামিম ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ব্রুস। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৫১ রান করে। এই ব্যাটারের ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। আরেক অপরাজিত ব্যাটার শাহাদাৎ হোসেন দীপু ১১ বলে অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে। এতে ১৪ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় বন্দর নগরীর দলটি। এবারের আসরে ৫ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে শুভাগত হোমের দল।