অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৯ এএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০২ পিএম
ডায়না ইয়স্ত্রিমস্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন চীনের কিউওয়েন ঝেং (বায়ে), সাবালেঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন কোকো গফ। ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নারী এককে ফাইনালে উঠেছেন চীনের কিউওয়েন ঝেং। সেমিফাইনালে ইউক্রেনের ডায়না ইয়স্ত্রিমস্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেছেন ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ের ১৫-তে থাকা ঝেং। রড লেভার অ্যারেনায় ইয়স্ত্রিমস্কাকে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন তিনি। অপর সেমিফাইনালে কোকো গফের স্বপ্ন ভেঙেছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। মেলবোর্নের সেমিফাইনালে গফকে ৭-৬ (৭-২), ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফাইনালে ঝেংয়ের সঙ্গী হয়েছেন বেলারুশের টেনিসকন্যা।
গত বছর ইউএস ওপেনে গফের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ হয়েছিল সাবালেঙ্কার। সেই হারের প্রতিশোধ নিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তাকে বিদায় করে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেলবোর্নের সেমিফাইনালে সাবালেঙ্কার সামনে খুব একটা পাত্তা পাননি গফ। তবে সেমিফাইনালে দুই সেটে সাবালেঙ্কা জয়ী হলেও প্রথম সেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা গফ। ছটি বিরতিতে শেষ হয় প্রথম সেট। যদিও পরের সেটে গফকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ডিফেন্ডিং গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ীকে। ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘আমি মনে করি আজকে দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। আমি সত্যিই অসাধারণ টেনিস খেলেছি। আশা করি ফাইনালে আমি এভাবে খেলতে পারব বা আরও ভালো খেলব।’
এ নিয়ে মেলবোর্নে শেষ ১২ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন সাবালেঙ্কা। অংশ নেওয়া সবশেষ ছয়টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে খেললেন তিনি। ২০১৪-১৭-এর মধ্যে টানা ১০টিতে এর আগে সেমিফাইনাল খেলেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। তারপর এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন বেলারুশ টেনিসকন্যা।
সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া গফ কখনোই মেলবোর্নে চতুর্থ রাউন্ডের বেশি উঠতে পারেননি। বেলারুশ টেনিসকন্যার কাছে হেরে হতাশ হলেও নিজেকে গর্বিত মনে করছেন গফ, ‘আমি আমার সেরা টেনিস খেলিনি। কিন্তু সত্যিই গর্বিত যে আমি সেমিফাইনালে খেলেছি।’ আশা করি আমি এই ম্যাচটির কথা শিগগিরই ভুলে যাব এবং আমি আরও ভালো খেলতে পারব।’
নারীদের এককে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা কিনওয়েন ঝেংয়ের কাছে পুরো ব্যাপারাটিই যেন অবিশ্বাস্য লাগছে। খেলা শেষে বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আজকে এত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে পেরে আমি খুব উত্তেজিত। আমি ফাইনালে পৌঁছেছি। আমার মনে হয় প্রতিপক্ষ অবিশ্বাস্য টেনিস খেলছে এবং সত্যিই ভালো বেসলাইন স্ট্রোক পেয়েছে। এখন আমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করা কঠিন। অস্ট্রেলিয়ায় এটাই আমার প্রথমবার। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের ধন্যবাদ।’