প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২১ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০১ পিএম
শেখ জামালের ফুটবলারদের গোল উদযাপন
ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জোড়া গোলে চলতি ফেডারেশন কাপ ফুটবলে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনায় ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে শেখ জামাল।
এ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল এই আসরের ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল দিনের আরেক খেলায় ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস স্পোর্টিং।
প্রিমিয়ার লিগের দুর্দশা ফেডারেশন কাপেও দূর করতে পারেনি এই প্রতিযোগিতার ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ম্যাচে মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন ফর্টিসের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর বাবৌ।
দলটির অপর গোলদাতা আমির হাকিম বাপ্পি। শেখ রাসেলের একমাত্র গোলটি করেন সেলেমানি ল্যান্ড্রি। এই জয়ে কিংসের সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে সেরা আটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ফর্টিস।
চলতি মৌসুমে (প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ) এই প্রথম হারের স্বাদ পেল পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছিল রহমতগঞ্জ।
দুই ম্যাচে তাদের ঝুলিতে মোটে ১ পয়েন্ট। শেষ আটে উঠতে হলে রহমতগঞ্জকে তাকিয়ে থাকতে হবে শেখ জামাল ও পুলিশ এফসির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের দিকে।
গতকাল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ১৮ মিনিটের মাথায় লিড নেয় শেখ জামাল। এ সময় বাম দিক থেকে জয়নাল আবেদিন দিপুর ক্রসে হেডের সাহায্যে দুর্দান্ত গোল করেন দলটির নাইজেরিয়ান অ্যাটাকার অগাস্টিন। ম্যাচের ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাহিম। দুর্দান্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন স্থানীয় এই ফরোয়ার্ড।
খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে শেখ জামালের জয়ের পথ পরিষ্কার করে দেন সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় সতীর্থ ইগরের পাসে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সাজ্জাদ। নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে রহমতগঞ্জের হয়ে ব্যবধান কমান দাউদা সিসে।
কিন্তু ম্যাচে ফেরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে চমৎকার গোল করে ম্যাচ থেকে রহমতগঞ্জকে ছিটকে দেন ফাহিম।
শেখ রাসেলের বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফর্টিস। এ সময় স্পটকিক থেকে গোল করেন ওমর বাবৌ। ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন বাপ্পি। এই গোলের উৎসও ওমর বাবৌ। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে শেখ রাসেল।
এ সময় ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন সেলেমানি। কিন্তু এর তিন মিনিটের মধ্যেই শেখ রাসেলের ফেরার পথ বন্ধ করে দেন ওমর বাবৌ। দলের হয়ে করেন তৃতীয় গোল।