বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২০ পিএম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৫ পিএম
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ওপেনার লিটন দাস। তবে ইমরুল কায়েস ও তাওহিদ হৃদয়ের শতরানের জুটিতে ভর করে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথেই ছিল তারা। তবে টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের হ্যাটট্রিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অল্পতেই আটকে দিল দুর্দান্ত ঢাকা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাট হাতে কায়েস ৬৬ ও তাওহিদ হৃদয় ৪৭ রান করেন।
সপ্তদশ ওভার পর্যন্ত কুমিল্লার উইকেট পড়েছিল সবেমাত্র একটি। তারপরও দুর্দান্ত ঢাকার আঁটসাঁট বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ পেল না তারা। শেষ দুই ওভারে হুড়মুড়িয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে তাসকিন ২টি ও শরিফুল হ্যাটট্রিক করেন।
ইনিংসের ২০তম ওভারে বিপিএলে সপ্তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন শরিফুল। ইনিংসের শেষ তিন বলে বাঁহাতি এই পেসার নেন খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান করে চতুরাঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
এরপর ইমরুল কায়েস ও ওয়ানডাউনে নামা তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে কুমিল্লার রানের চাকা। দুজনই খেলতে থাকেন কিছুটা রক্ষণাত্মক ঢংয়ে। মাঝে জীবন পান কায়েস, তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক। জীবন পেয়ে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটি তার দশম ফিফটি।
মিরপুরের মন্থর উইকেটে ১৫ ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয় কুমিল্লার। তারপরও ধীরগতিতেই খেলতে থাকেন ইমরুল ও হৃদয়। আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারান হৃদয়। তাসকিনের ওয়াইড লেন্থের বলে সজোরে ব্যাট চালাতে গিয়ে ক্রুসপুলেকে ক্যাচ দেন তিনি। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
একই ওভারে বিদায় নেন কুমিল্লার সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ইমরুল। সীমানার কাছে শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৫৬ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
২০তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে খুশদিলের কাছে ছক্কা হজম করেন শরিফুল। পরের বলেই পাকিস্তানি ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান এ পেসার। পরের দুই বলেও উইকেট শিকার করেন তিনি।