প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৪১ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৪ পিএম
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও নাফিসা কামাল
দোরগড়ায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বেজে গেছে ক্রিকেট লড়াইয়ের দামামা। রাত পোহালেই মাঠে গড়াবে ঘরোয়া এ টি-টোয়েন্টি আসর। ঠিক পর্দা ওঠার আগ মুহূর্তে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামাল।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ টুর্নামেন্টের রাজস্বের ভাগ চেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আসরের লভ্যাংশ ভাগ না পেলে আগামী বছর বিপিএল ছাড়ার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন। ২০২২ সালে গভর্নিং কাউন্সিলকে সাফ জানিয়ে রেখেছিল, রাজস্ব ভাগাভাগির মডেলে আগ্রহ নেই তাদের।
তারপরও নতুন করে পুরোনো ইস্যুটা ফের সবার সামনে এনেছেন সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কন্যা। তার তোলা দাবি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন আজ জানিয়েছেন, বিসিবি আগের সিদ্ধান্তে অনড়।
নাফিসা কামালের এই অভিযোগের জবাব দিয়ে বিসিবির সিইও সুজন বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যও। যেসব লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লিগগুলোতে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিস বলেন বা অন্যান্য আর্থিক কাঠামো অনেক ওপরে। তারা যে মডেলে করছে আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না।
বিশ্বের অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিপিএলের তুলনা করতে চান না সুজন, 'সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিসসহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনাযোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই।’
অন্যান্য লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো লভ্যাংশ পেলেও বিসিবি সেই মডেলের পথে হাঁটতে নারাজ। সুজন স্রেফ সেটাই জানিয়ে দিলেন, ‘এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল, আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে।
তবে এই ব্যাপারটা নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বসবেন বোর্ড কর্তারা। সেই বৈঠকে নিজস্ব মডেল উপস্থাপনের কথা জানালেন এ বোর্ড কর্মকর্তা, 'আমার মনে হয়, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কী মডেল করছি আর অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো কী মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।’
গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়ে নাফিসা কামাল বলেছিলেন- ‘হ্যাঁ, এটা শতভাগ সত্য। রাজস্ব ভাগাভাগি না হলে আমরা আগামী বিপিএলে থাকব না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটসের একটা অংশ চায়।’ কথাটা অবশ্য প্রতি বছর বিপিএল শুরুর আগেই বলেন।
তবে এবার জোর দিয়েই বলেছেন নাফিসা, ‘আমি আগামী বছর বিপিএল করব কি না নিশ্চিত নই। এখন যেভাবে হচ্ছে, এভাবে হলে আমার মনে হয় না আমার পক্ষে দল করা সম্ভব হবে। এ বছর একটা মিটিং করতে চেয়েছিলাম (বিসিবির সঙ্গে)।'
টুর্নামেন্টের অন্য সব দল নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান নাফিসা, 'গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও প্রেস কনফারেন্সে আমি এটাই অনুরোধ করেছিলাম- একটা মিটিং। মিটিং হলে রংপুরের মালিক পক্ষও বসবে। চট্টগ্রাম, ঢাকা- সবাই বসবে। সবাইকে সমান সম্মান দেওয়া উচিত। তারা সবাই কমবেশি বিনিয়োগ করছি। সবাইকে সম্মান দেওয়া উচিত।’