প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪০ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪২ পিএম
টাইগার পেসার ইবাদত হোসেন
আফগান সিরিজে কপাল পোড়ে ইবাদত হোসেনের। হাঁটুর ইনজুরি পেয়ে বসে তারকা এ পেসারকে। ঘরের মাঠের সেই সিরিজ হয়েছে গত বছরের জুলাইয়ে। সেই থেকে মাঠের বাইরে এ টাইগার পেসার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যাচ্ছেন। লন্ডনে চিকিৎসাও নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও মাঠের লড়াইয়ে এখনও ফিরতে পারেননি ইবাদত। ভারতের মাটিতে হওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি তার। সেরা ফর্মে থাকলেও খেলা হয়নি এশিয়া কাপেও। খেলছেন না আসন্ন বিপিএলের দশম আসরেও। আশঙ্কা আছে জুনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অংশগ্রহণ নিয়েও। কেননা বিসিবির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাঁটুর অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে উঠতে আরও সাত-আট মাস লেগে যাবে তার। তবে ইবাদতের দৃঢ়বিশ্বাস, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্বমঞ্চে খেলতে পারবেন। মাঠে ফিরতে পারবেন টি-টোয়েন্টির মহাযজ্ঞ শুরুর আগেই।
আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে মাঠে নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আশার কথা শোনান এ টাইগার সিমার। জানান নিজের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আপডেট তথ্যও, ‘আমি তো আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ফিরব, ইনশাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, যেভাবে মেডিকেল বিভাগ সাপোর্ট দিচ্ছে… রিহ্যাবটা খুব ভালো করছি। স্ট্রেংথ ফিরে পাচ্ছি। আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে।’
তবে ফেরার জন্য তাড়াহুড়ো নেই ইবাদতের। কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছেন ফেরার পথে, ‘তাড়াহুড়ো করছি না। আমি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি, খুব ভালোভাবে এগোচ্ছি। গত পরশু (বৃহস্পতিবার) আমার দুই পায়ের পেশির মাপ নেওয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালোই রিকভার হয়েছে। এ জন্যই মনে হচ্ছে কষ্ট যেটা করছি, সেটার ফলটা খুব ভালো পাচ্ছি।’
অনেক দিন ধরেই খেলার মাঠে নেই ইবাদত। দর্শক হয়ে থাকতে মোটেই ভালো লাগছে না। অন্য বোলারদের বোলিং করতে দেখে আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন। কারণটা সবার জানাÑ বল করতে না পারার মানসিক যন্ত্রণায় জ্বলছেন ইবাদত। মনের কোণে লুকানো সেই কষ্টটাও নিংড়ে দিয়েছেন গণমাধ্যমে, ‘আমি খেলোয়াড়, কিন্তু খেলতে পারছি না। ওরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে। কষ্ট লাগবেই, স্বাভাবিক। মনে হয় একটু বল ধরি, একটু বোলিং করি। এজন্য সেদিন দাঁড়িয়ে একটু বোলিং করেছি। যদিও বোলিং করাটা এখনও শুরু হয়নি। আস্তে আস্তে দৌড়ানো শুরু করব। এরপর একটু একটু করে বোলিং।’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করতে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে ধাক্কা খান। অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় চোট পান ইবাদত। ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে গত ৩০ আগস্ট ডানহাতি এ পেসার যান শল্যচিকিৎসকদের ছুরি-কাঁচির নিচে। অস্ত্রোপচারের ধকলটা এখনও কাটিয়ে ওঠা হয়নি। এখন চলছে ইবাদতের পুনর্বাসন কার্যক্রম। কবে নাগাদ পুরোপুরি বোলিং শুরু করতে পারবেন, সেই দিনক্ষণ অজানা। পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করছে পুনর্বাসনে তার উন্ন তির ওপর।