প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
ক্রিকেটবোদ্ধারা একটা কথা সবসময় বলে থাকেন, ‘নির্দিষ্ট দিনে যারা সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারবে, তারাই শেষ হাসি হাসবে।’ তবে মাঠে এই সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হলে ক্রিকেটারদের থাকতে হবে চাপমুক্ত কিংবা নির্ভার। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের যুবারা চাপমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন দলের ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফর।
আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপ শুরুর দুই সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা, যাতে কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। তার আগে গতকাল দুপুরে হোম অব ক্রিকেটে হাজির হন মাহফুজুর রাব্বির দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে স্যুট-বুট পরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন ক্রিকেটাররা। এসময় একই পোশাক পরিহিত অবস্থায় ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফরের সঙ্গে ছেলেদের নিয়ে মজা করছিলেন যুবাদের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল। সদ্য এশিয়া কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এই দল ভক্তদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২০ সালে প্রথমবার বিশ্বজয় করেছিল আকবর আলীর দল। একই ভেন্যুতে চার বছরের ব্যবধানে শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জ এখন মাহফুজুর রহমান রাব্বিদের কাঁধে।
গতকাল ফটোসেশন শেষে খেলোয়াড়দের ভিড়ের মধ্যেই গণমাধ্যমের সঙ্গে খুনসুটিতে মাতেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম। টাইগার যুবাদের এই দলটার সঙ্গে ওয়াসিম কাজ করছেন দুই বছর হলো। এই দলটাকে তিনি কীভাবে দেখছেন? উত্তরে ওয়াসিম বলেন, ‘দারুণ। ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের গড়ে তুলেছে। যে জায়গায় আমরা ওদের দেখতে চেয়েছি, সেটা হয়েছে।’ যোগ করেন, ‘ওরা চাপ নিয়ে খেলুক তা চাইব না। ওরা কিন্তু এভাবে খেলেই এশিয়া কাপ জিতেছে, বাংলাদেশে প্রথম কোনো দল এই অর্জন করল। আমাদের তাই ওদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’
এবার যুব বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। উপমহাদেশের কন্ডিশন বলে বাংলাদেশও বড় স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় যুব বিশ্বকাপ চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। দুই দেশের কন্ডিশনে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। তাই ব্যাটিং কোচ হিসেবে ওয়াসিমকেও ছেলেদের প্রস্তুত করার চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে, ‘ভেন্যু বদলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে এটা ঠিক। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে উপমহাদেশের স্বাচ্ছন্দ্যটা পাওয়া যেত। কিন্তু হুট করে বদলে যাওয়ায় সেটা কঠিন হবে। তবে সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমি বিশ্বাস করি, এই দলের সে সামর্থ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, ভালো করার।’
আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্দা উঠবে যুব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের যুবারা খেলবেন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। তার দুদিন পর টাইগার যুবারা মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২৬ জানুয়ারি লড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে পাঁচটি ভেন্যুতে ১৬ দল ও ৪১ ম্যাচের এই বিশ্বকাপ আসর শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।