প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০২ পিএম
মাসুদ যদিও প্রশংসিত হয়েছিলেন সিরিজ জুড়ে— সংগৃহীত ছবি
ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হলেও অধিনায়কত্বটা জুতসই হচ্ছিল না বাবর আজমের। আইসিসির কোনো আসর কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও তাই খাপছাড়া ছিল পাকিস্তান। দাপুটে দল নিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফেরার অমন ট্রেন্ড বদলাতেই পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড বদল আনে নেতৃত্বে। বাবর নেতৃত্ব ছাড়ার পর সাদা পোশাকের দায়িত্ব এসে পড়ে শান মাসুদের ঘাড়ে। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ১৬ টেস্টে যা কোনো পাকিস্তানের অধিনায়ক করতে পারেননি সেটি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাসুদ। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সিডনি টেস্টে এসে সফরের শেষবেলায় মাসুদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পুরো সফরে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকা আসরে মাসুদ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তার মাঝে অন্যতম আমের জামালকে আবিষ্কার। কিন্তু সেই জামালকে নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
মূলত অজি মুলুকে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি জামালকে মাসুদ বোলিংয়ে এনেছেন গতকাল ২০তম ওভারে। ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ঝুলে গেছে। অজিদের প্রয়োজন যখন ৩৩ রান, তখন কেন মূল স্পিনার আমেরকে আনতে হবে? সেই প্রশ্ন উঠেছিল ম্যাচ শেষে। অধিনায়কের হয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক ও এই সিরিজের প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি মনে করেন, জামালের হাতে আরেকটু আগে বল তুলে দেওয়া উচিত ছিল। তবে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি অধিনায়কের ছিল, ‘সব বোলারই বল করতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ব্যাপারটি অধিনায়কের ওপর নির্ভর করে। অধিনায়কের কৌশল এমনই (জামালকে দেরিতে বোলিংয়ে আনা) ছিল।’
সিডনিতে চতুর্থ দিনে উইকেট সাধারণত ভাঙতে শুরু করে। সেখানে স্পিনাররা সহায়তা পেয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান খাজা ও ওয়ার্নার বাঁহাতি হওয়ায় শুরুতেই ডানহাতি অফস্পিনার সাজিদ খানকে বোলিংয়ে এনেছিলেন মাসুদ। কাজেও দিয়েছিল। কিন্তু এরপর লাবুশেনকে নিয়ে লম্বা জুটি গড়েন ওয়ার্নার। বিদায়ি টেস্টে ৫৭ রান খেলে যখন ওয়ার্নার ফেরেন তখন অস্ট্রেলিয়ার জয় হাতের মুঠোয়।
আগের দিনে হ্যাজলউড ধসে ১১৫ রানে থেমে যাওয়া পাকিস্তান পুঁজি পায় ১৩০ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে যা পেরোতে ২ উইকেটের বেশি খরচা করেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তাতেই আরেকবার হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। এ নিয়ে অজি মুলুকে টানা ১৭টি টেস্ট হারল এশিয়ার দেশটি, মাসুদও পারেননি পরিসংখ্যান বদলাতে। সমালোচনা তো সেখানেও হতে পারে!