প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২৬ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৯ পিএম
ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি : সংগৃহীত
ধারণা করা হচ্ছিল ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিছুদিন দেরিতে হলেও সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেছেন অজি ওপেনার। আজ সোমবার সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেবল টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন সিডনি টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকেও অবসরের অপেক্ষায় থাকা ওয়ার্নার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে অবসর নিলেও অজিদের হয়ে প্রয়োজনে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রাজি আছেন ওয়ার্নার। সেটা না হলে ঘরোয়া এবং ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেই মনোযোগী হবেন তিনি।
ভারত বিশ্বকাপের আগেই অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেটি এখন পূর্ণতা পাচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ে। কেননা ভারতের মাটিতে এক বিশ্বকাপ বিরতির পর আবার ট্রফি ঘরে তোলে অজিরা। এর আগে ২০১৫ সালে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ওপেনার। এ ছাড়া সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালীন সিডনি টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তিনি। সেটি হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের টেস্ট খেলেই বিদায় জানাবেন এই ফরম্যাটকেও। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করছি। ভারতে দারুণ একটি টুর্নামেন্ট কেটেছে। বিশ্বকাপ জেতা অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। সুতরাং আজ আমি দুটি সংস্করণ থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যা আমাকে বিশ্বজুড়ে লিগ খেলার এবং ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি এবং দলে যদি আমাকে প্রয়োজন পড়ে তবে আমি অবশ্যই থাকব।
২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাটকীয়ভাবে যদি ওয়ার্নারের ফেরা না হয় তবে ভারতের আহমেদাবাদের সেই ফাইনালটিই ৩৭ বছর বয়সির শেষ ওয়ানডে ম্যাচ হয়ে থাকবে। ২০০৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখা ওয়ার্নার এক যুগেরও বেশি সময় ধরে খেলেছেন ১৬১টি ওয়ানডে ম্যাচ, যেখানে ৪৫.৩০ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৯৩২ রান। রানের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাঁহাতি ওপেনার। এ সংস্করণে হাঁকিয়েছেন ২২টি সেঞ্চুরি। এদিক থেকে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সর্বোচ্চ ৩০টি সেঞ্চুরি করে সবার ওপরে কিংবদন্তি রিকি পন্টিং।