প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৩ পিএম
পেন্ডুলামের মতো ঘোরা ম্যাচ এক সময় রূপ নেয় নাটকীয়তায়। ধারে-ভারে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের এক বিতর্কিত আউটে পরিবর্তন হয় দৃশ্যপট। খেই হারানো সফরকারী দল শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে হেরে বসে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। এই পরাজয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতার ধারা অব্যাহতই থাকল পাকিস্তানের। টানা ১৬ টেস্ট হারল তারা। সবশেষ জয়টি ছিল তাদের সেই ১৯৯৫ সালে সিডনিতে।
মেলবোর্ন টেস্টে যতবারই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান, ততবারই আঘাত করেছেন প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসের ৫ উইকেটের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক নিয়েছেন আরও ৫টি। ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি গড়েছেন ইতিহাস। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এক টেস্টে ১০ উইকেট শিকারি প্রথম অধিনায়ক তিনিই। প্রায় ১২১ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনিং অলরাউন্ডার হিউ ট্রাম্বলের ৮ উইকেট এত বছর ধরে অধিনায়কদের মধ্যে এই মাঠের সেরা বোলিং।
বক্সিং ডে টেস্টে জয়ের ব্যবধান বড় মনে হলেও রিজওয়ান ও আঘা সালমানের জুটির সময় তো পাকিস্তানকেই মনে হচ্ছিল ফেভারিট। একপর্যায়ে ৫ উইকেট নিয়ে ৯৮ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। তখন ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন কামিন্স। তাতেই খেল খতম হয় পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা যখন খেলা শুরু করে, তাদের পাশে এরই মধ্যে ৬২.৩ ওভার। সেখান থেকে স্বাগতিকরা ২১.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৭৫ রান যোগ করতে হারায় শেষ ৪ উইকেট। ২৬২ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া লিড পায় ৩১৬ রানের। রান তাড়ায় নেমে দলীয় ৮ রানেই ভেঙে যায় পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। মিচেল স্টার্ক প্রথম উইকেট পেলেও জয়ের নায়ক হন কামিন্স। সাঁড়াশি আক্রমণ করেন। কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেয় সফরকারীরা, সাহায্য করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঘা সালমান। তাদের জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে থাকে।
একটা পর্যায়ে অর্থাৎ ৫৭ রানের এই জুটি ভেঙে দেন কামিন্স। রিজওয়ান ৩৫ রান করে তার শিকার হন। পরের ওভারে আমির জামালের ফিরতি ক্যাচ ধরেন অজি অধিনায়ক। শাহিনকে মার্নাস লাবুশেনের ক্যাচ বানিয়ে পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স। পরের ওভারে মিচেল স্টার্ক পরপর দুই বলে আঘা ও হামজাকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। আঘা ৭০ বল খেলে ৫০ রানে আউট হন। ৫ বলের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান।