প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬ পিএম
আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন চ্যাম্পিয়ন পূর্বাঞ্চলের ক্রিকেটাররা
অবশেষে শিরোপা উৎসব করার উপলক্ষ পেল পূর্বাঞ্চল। বিসিএলের (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) এক যুগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল দলটি। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পেসার খালেদ আহমেদের আগুনঝরা বোলিংয়ে তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলকে ইনিংস ও ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পূর্বাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫০ রান খরচায় ৭ উইকেট নেন খালেদ। এদিকে মিরপুরে দিনের অন্য ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। দুটি ম্যাচই শেষ হয়েছে এক দিন আগে। বোলারদের শাসনে থাকা ম্যাচগুলো চতুর্থ দিনে গড়ায়নি।
তিন রাউন্ড শেষে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান পেয়েছে পূর্বাঞ্চল। রানার্সআপ হয়েছে মধ্যাঞ্চল। তৃতীয় রাউন্ড শেষে তাদের ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট। উত্তর ও দক্ষিণ দুদলই পেয়েছে ৪ পয়েন্ট।
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিসিএলে আগের ১১ আসরে চারবারের রানার্সআপ হওয়া দলটি এবার নাম লেখাল চ্যাম্পিয়নের কাতারে। সর্বশেষ তারা রানার্সআপ ট্রফি জেতে ২০১৯-২০ মৌসুমে।
এবার শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে শিরোপা জিতেই মাঠ ছেড়েছে পূর্বাঞ্চল। তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডে উত্তরের বিপক্ষে প্রথম দুদিনেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় দলটি। গতকাল তৃতীয় দিনে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে তারা। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রানে পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চল আগের দিনের ৬৭/৩ নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানেই দম ফুরিয়ে যায়। খালেদ একাই নেন ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসেও খালেদ ছিলেন বিধ্বংসী। ৪ উইকেট শিকার করেন ৪০ রান খরচায়। দুর্দান্ত বোলিং করার সুবাদে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পান খালেদ আহমেদ। এ ছাড়া ২ উইকেট শিকার করেন পেসার রেজাউর রহমান। আর একটি উইকেট নেন পেসার আবু জায়েদ।
বিসিএলে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল এবার শিরোপা রেসে থাকতেই পারেনি। শেষ রাউন্ডে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সমানতালে লড়াই করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়ে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ আগের দিনের ৪৭/৩ নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ২ রানের মধ্যেই হারায় সাত সাতটি উইকেট। এই ধসের নেতৃত্ব দেন মধ্যাঞ্চলের তিন পেসার আবু হায়দায় রনি, শহীদুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন শাকিল। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার। ৩ উইকেটের জন্য শহীদ দিয়েছেন মোটে ৭ রান। আর শাকিল ২ উইকেট নেন ১৩ রান খরচায়। তাদের পেস আগুনে পুড়ে দক্ষিণের ৯ ব্যাটার পাননি দুই অঙ্কের ঘরের নাগাল।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের প্রয়োজন পড়ে মোটে ১৬ রান। মাত্র এক ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে দলটি। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন দলটির ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ওপর ওপেনার আব্দুল মজিদ সুযোগ পাননি ব্যাট করার। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাইম। প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ের মুখে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।