প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
মেধা-শ্রম সবই ছিল হুসাইন মোহাম্মদ আফতাবের। প্রয়োজন ছিল উৎসাহ এবং ঝুঁকি নেওয়ার সাহসিকতা। বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই সাধারণ ব্যাটের কারিগর থেকে কারখানার অংশীদার বনে যান আফতাব। ইতোমধ্যে ব্যাট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘এমকেএস স্পোর্টস’ পেয়েছে আইসিসির স্বীকৃতি। এখন থেকে দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাটে শোভা পাবে কোম্পানিটির লোগো।
গত সোমবার আইসিসির পক্ষ থেকে পত্র দিয়ে অনুমোদনের ব্যাপারটি জানানো হয় আফতাবকে। সুখবর নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন ইমরুল কায়েসও। প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতির পর থেকেই সঙ্গে ছিলেন ইমরুল। মিরাজ পরে যোগ দেন। দুজনেই আফতাবের স্বপ্ন পূরণের সারথি হন।
২০২০ সালে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমার বার এলাকায় যাত্রা শুরু হয় এমকেএস স্পোর্টসের। ব্যাট মেরামত থেকে শুরু করে নতুন ব্যাট তৈরি, সবই করে থাকেন ‘শাহিন’ ডাকনামে সবার কাছে পরিচিতি পাওয়া আফতাব। আইসিসির পক্ষ থেকে অনুমোদনের পর তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটের স্টিকার দিয়ে খেলতে হলে আইসিসির অনুমোদন লাগত। ওদের কিছু গাইডলাইন আছে। সেগুলো ছাড়া স্পন্সর সম্ভব হতো না।’
এখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের স্পন্সর হতে পারবে এমকেএস স্পোর্টস। শুধু দেশি ক্রিকেটার নয়, বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হওয়ার পর এখন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্স জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারের ব্যাট তৈরির কাজও পেয়েছেন আফতাব। বলেছেন, ‘অনেক আগেই আইসিসির কাছে আবেদন করেছিলাম। ওরা কিছু ডকুমেন্ট চেয়েছিল। এরপর সোমবার সবুজ সংকেত দিয়েছে। এখন থেকে চাইলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের স্পন্সর হতে পারব।’
সাধারণ ব্যাট তৈরির কারিগর থেকে কারখানা তৈরির পেছনের বড় অবদান ছিল ইমরুল কায়েস ও মিরাজের। তাদের উৎসাহে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। আফতাব বলেন, ‘অনেক অপেক্ষার ফল এটি। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাট তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেলাম। বিষয়টি সত্যিই আনন্দের। ইমরুল ও মিরাজ ভাই সবাই আছেন আমার সঙ্গে। তারাও খুব উচ্ছ্বসিত। ২৫ বছর ধরে সময় দিচ্ছি, আজকের দিনটি দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।’