প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৭ পিএম
সমালোচনা যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন নান্নু— সংগৃহীত
আব্দুর রাজ্জাক একবার বলেছিলেন, সমালোচনাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার অন্তরায়। বিসিবির নির্বাচক কমিটির সদস্যের মতে, দর্শক-সমর্থক-সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা জগদ্দল পাথর হয়ে বসে খেলোয়াড়দের ওপর। তাতেই বাজে পারফরম্যান্স এবং একের পর এক হার। বাংলাদেশের সাবেক তারকা স্পিনারের মতো অভিযোগ না তুললেও নির্বাচকদের ভূমিকা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের যোগ্যতা নিয়ে কথা বলেছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। দলের প্রধান নির্বাচক বিসিবির সঙ্গে কথাও বলে রেখেছেন। সমালোচনা যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
ক্রিকেটাররা খারাপ খেললে সেটা নিয়ে বাংলাদেশে একটু বেশিই নেতিবাচক আলোচনা হয়। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর যেন সেই আগুনে ঘি পড়েছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের মিশন সুখকর না হওয়ায় অনেকেই দুষছেন দল নির্বাচন নিয়ে। নান্নুর কাজ এবং বেতন নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এসব কিছুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করছেন সাকিব-শান্তদের নির্বাচক। আক্ষেপ করে টেনেছেন জয়-পরাজয়ের একাল-সেকালের পরিসংখ্যান।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে ২০২২ সালের জুনে বিসিবি সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন দুই নির্বাচকের মেয়াদ বাড়ানোর। চলতি মাসের ৩১ তারিখেই শেষ হবে তাদের বাড়তি এক বছরের মেয়াদও। তাতেই নতুন করে জোরালো হচ্ছে, বাড়তি মেয়াদে দল নির্বাচনে কতটা সফল নান্নু-বাশারের নির্বাচক প্যানেল?
সমালোচকদের বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান টেনে জবাব দিয়েছেন নান্নু, ‘২০১৩ সালে যখন আমরা আসি, সেখান থেকে দেশের ক্রিকেটের উন্নতিটা দেখেছেন? ওয়ানডেতে ৫% জয় থেকে ৩৬% হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে ০% থেকে ১০%, টেস্টে ০.৫% থেকে ৫% হয়েছে। ১০ বছরে কাজ না করলে এত উন্নতি হতো? ওসব নিয়ে আমাদের আক্ষেপ নেই। চেষ্টা করেছি কাজ করে যেতে। সামনে চুক্তি শেষ হয়ে গেলে এরপর আর কাজ করব না। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শুভকামনা তো জানাবই।’
তবে নিজেদের নিয়ে সমালোচনাটা মানতে পারছেন না নান্নু। গণমাধ্যমে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো অনেক রকম কথা হয়। কিছুদিন আগে বলা হলো, আমি ৫ লাখ টাকা বেতন পাই। ১০ বছর চাকরি করার পর ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিতে থাকার পর বোর্ডে গিয়ে দেখে আসেন কত টাকা বেতন পাই। লজ্জা থাকা উচিত যেসব লোক এসব নিউজ করেছেন। এত বছর ধরে কাজ করছি আমি আর সুমন। আমাদের কেউ অভিনন্দন জানায়নি। খুবই অবাক। এটা আমরা মানিয়ে নিয়েছি। যখন হারে তখন শুরু হয়ে যায় সব আলোচনা-সমালোচনা। এগুলো নিয়ে আক্ষেপ নেই।’