প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৭ পিএম
আগের দুই আসরে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের বৈতরণীই উতরে যেতে পারেনি বার্সেলোনা! সেই দুঃখ ভোলার মিশনে পিছিয়েই পড়েছিল তারা। শেষে দুই পর্তুগিজের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াল কাতালানরা। ঘাম ঝরানো জয়ে দুই আসর পর ইউরোপ সেরাদের টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে নাম লিখলেন জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। মঙ্গলবার রাতে পোর্তোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। পেপে আকুইনো পোর্তোকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোয়াও ক্যানসেলো এনে দেন সমতার স্বস্তি। পরে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন জোয়াও ফেলিক্স। শেষ ষোলোয় দল নাম লেখায় বেজায় খুশি কোচ জাভি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে গ্রুপ অব ডেথ খ্যাত ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচ মানেই বাড়তি আকর্ষণ। মঙ্গলবার রাতে এই গ্রুপ থেকেই মুখোমুখি হয় পিএসজি ও নিউকাসল ইউনাইটেড। টেবিলের তলানিতে থাকা নিউক্যাসলের জন্য জয়টা ছিল অবশ্যম্ভাবী। সে লক্ষ্যেই দলটি ছিল। কিন্তু এক গোলে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি প্রিমিয়ার লিগের দলটি। কিলিয়ান এমবাপের শেষের গোলে হার এড়িয়েছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। পার্ক দেস প্রিন্সেসে ১-১ গোলে ড্র করে।
এই ড্রয়ে শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগটা জিইয়ে রইল পিএসজির, সঙ্গে নিউক্যাসলেরও। ৫ খেলায় ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে পিএসজি। সমান খেলায় ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে নিউক্যাসল। গ্রুপের অন্য খেলায় গত রাতে এসি মিলানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে জার্মান জায়ান্টরা। তবে হেরে গেলেও সুযোগ রয়েছে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একদম তলানিতে থাকা মিলানের জন্য। শেষ ম্যাচটি সেক্ষেত্রে জিততে হবে সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ডর্টমুন্ড ছাড়া বাকি তিন দলেরই শেষ ম্যাচটি তাই ডু অর ডাই।
রক্ষণের ভুলে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বিরতির পর অবশ্য খেলায় ফেরে তারা। লাইপজিগকে আবারও হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো কোচ পেপ গার্দিওলার দল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে ইউরোপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। লাইপজিগের মাঠে প্রথম লেগে তারা ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল। গত রাউন্ডেই এ দুই দল নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল। বাকি ছিল কেবল গ্রুপসেরা নির্ধারণ।
প্রথম লেগে নিউক্যাসলের মাঠে গিয়ে ৪-১ গোলে হেরেছিল পিএসজি। গত রাতেও তেমন কিছুরই আভাস দিচ্ছিল নিউক্যাসল। যদিও গোল হজমের আগে দারুণ ফুটবল খেলেছে পিএসজি। স্পষ্ট প্রমাণ পরিসংখ্যানে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য তারা শট নেয় ৩১টি, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। নিউক্যাসলের ৫ শটের ২টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথম ১০ মিনিটেই দুটি ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে ২৪ মিনিটের মাথায় পাওয়া সুযোগটি হাতছাড়া করেননি আলেক্সজান্ডার ইসাক। সুইডিশ তারকার গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল।
প্রথমার্ধে একাধিক চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সহজ নষ্ট করেন উসমান দেম্বেলে। ৬৬ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল পিএসজি। তবে বার্কোলার নেওয়া শটটি ফিরিয়ে দেন নিউক্যাসলের গোলরক্ষক। শেষদিকে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯৫ মিনিট) ডি বক্সে দেম্বেলের পা থেকে বল নিউক্যাসলের ডিফেন্ডার টিনো লিভরামেন্টোর কনুইয়ের নিচে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেন পিএসজির খেলোয়াড়রা। রেফারি যদিও সাড়া দেননি। পরে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। স্পট কিকে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দলকে মূল্যবান পয়েন্ট এনে দেন পিএসজি অধিনায়ক এমবাপে।