× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জয়ের কণ্ঠে তবুও হতাশার সুর

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩৮ পিএম

 জয়ের কণ্ঠে তবুও হতাশার সুর

স্কোরটা যদি হয় ৪৯৮, ৪৮১ কিংবা ৪৪৪। তাহলে কেমন হবে? দারুণ না? তা তো অবশ্যই। ভাবছেন এটা টেস্ট ম্যাচের কোনো ইনিংসের স্কোর? সেটা ভাবলে আপনি ভুলের রাজ্যে বসবাস করছেন। হ্যাঁ, সেটা তো বলতেই হয়। এই তিন ইনিংস লাল বলের ক্রিকেটের কোনো ইনিংস নয়। তিনটিই ওয়ানডের স্কোর! এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড তিনটির মালিক আবার ইংল্যান্ড। যেগুলো তারা গড়েছিল নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। 

এগুলো না হয় একটু পুরোনো। ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি তো এখনও জ্বলজ্বল করছে ক্রিকেট দুনিয়ার আকাশে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৮, ৩৯৯ ও ৩৮২; অস্ট্রেলিয়ার ৩৯৯ ও ৩৮৮; নিউজিল্যান্ডের ৪০১ ও ৩৮৩ এবং ভারতের ৪১০ ও ৩৯৭ রানের হিমালয়সম পুঁজি তো সেদিনকার কথা। ওয়ানডের বিশ্বমঞ্চের রান উৎসবের স্মৃতি তো ভোলার কথা নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। তারাও ছিলেন ওই ক্রিকেট মহাযজ্ঞে। কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে, হয়তো ভুলেই গেছেন সিলেটে তারা ওয়ানডে নয় টেস্ট খেলছেন। নইলে কি আর দেশের ছেলেরা প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান তোলেন। সে আবার ৮৫ ওভার খরচ করে।

নিজেদের দেশের মাটিতে। চেনা কন্ডিশনে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে। আগামীকাল শেষ উইকেটে লেজের দিকের দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম-শরিফুল ইসলাম কত রানইবা করবেন। ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়ার মতো এখন টেস্ট নিয়ে লিখতে গিয়ে ওয়ানডে নিয়েই আলোচনা করতে হচ্ছে। ওয়ানডেতে যেখানে সাড়ে তিনশ রানও নিরাপদ নয়, সেখানে টেস্টে তিনশ ছোঁয়া ইনিংস দিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করা যায় না। প্রতিপক্ষ যখন শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড, তখন এমন আশঙ্কা তো স্বাভাবিক। সেটাও হতো না। যদি না ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৬ রানের দাপুটে ইনিংস খেলতেন। বাকি ব্যাটারদের কথা না বললেও চলে। দলীয় স্কোরই দিয়ে দিচ্ছে তাদের আমলনামা।

জয় নিজে ৮০ ঘরে পৌঁছতে পারলেও তার সতীর্থদের কেউ ৪০ ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। তাই তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসে রান কম হওয়ার আক্ষেপ করলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার কাছে এই স্কোরটা যথেষ্ট নয়। কিন্তু উইকেট ও নিজেদের স্পিনশক্তির বিচারে বাংলাদেশের সংগ্রহকে একই সঙ্গে ভালোও বলছেন জয়, ‘সবাই ভালো শুরু পেয়েছিল কিন্তু বিল্ডআপ করতে পারেনি। এটা আমাদের আক্ষেপ। বোর্ডে ৩০০ রান আসে। এখন ভালো পজিশনে আছি।’

আফগানদের বিপক্ষে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের সর্বশেষ টেস্টে ১৩৭ বলে ৭৬ রান করে জয় ফিরেছিলেন সাজঘরে। গতকালও নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। উইকেটে থিতু হয়ে ভুল করলেন। দুরন্ত ব্যাটিং করেও মিস করেন জাদুকরী তিন অঙ্ক। এ কারণে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন জয়- ‘হ্যাঁ, হতাশ। ওপেনার হিসেবে প্রতিদিন তো আর থিতু হওয়ার সুযোগ আসে না। দুটো সুযোগই হাতছাড়া করেছি। ইনশাল্লাহ সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করব। আমারও বড় ইনিংসের সুযোগ ছিল, মিস করে ফেলেছি। প্রতিদিন এরকম সুযোগ আসে না। আজ এসেছিল, মিস করে ফেলেছি।’

প্রথম দিন টাইগারদের টার্গেট ছিল আরও বড়। টস জিতে ব্যাট হাতে নেমে স্বাগতিকদের চোখ ছিল অন্তত সাড়ে তিনশ রানে। কিন্তু সেটা হয়নি। জয় তো তেমনটাই বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩৫০ বা ৩৮০ রান, হয়নি।’

দলের পুঁজি কম হলেও আশায় বুক বাঁধছে জয়। এই সংগ্রহ দিয়েই মাঠের শত্রু কিউইদের চাপে রাখার চেষ্টা করবে দল। সেই গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে স্পিনারদের। ঘূর্ণির জাদুকরদের কাজ বাড়িয়ে দিয়ে জয় বলেন, ‘চেষ্টা করব যে রান আছে এই রানের মধ্যে কোয়ালিটি স্পিনার দিয়ে ওদের আটকে রাখতে। স্পিনাররা যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারে ইনশাল্লাহ তাদের কম রানে অলআউট করা সম্ভব।’

প্রথম দিন বাংলাদেশের তিন ব্যাটার আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত ফুলটস বলে আত্মাহুতি দিয়ে সমালোচনার বিষাক্ত তীর হজম করে চলেছেন। শান্তর আউট নিয়ে জয় বলেন, ‘একটু তো হতাশাজনক। আউট তো হয়ই, কিন্তু ফুলটস বলে হয়ে গেছে, এটা তো আর সব দিন হবে না। আমি একটু অবাক হয়েছি যে ফুলটস বলে। এর আগে অনেকগুলো ভালো শট খেলেছিল, তো...। শান্ত ভাই তো নরমালি (সাধারণত) এমনই ব্যাটিং করে। উনি উনার পরিকল্পনায় ছিলেন, উনি যেমন ন্যাচারাল ব্যাটিং করেন, সেটাই করেছেন। একটু তো হতাশা থাকবেই। একটা ব্যাটার কিন্তু সব সময় সেট হওয়ার সুযোগ পান না। যখন পান, তখন ৩০-৪০ রান করে আউট হলে হতাশারই।’

ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হলেও দিনের শেষদিকে এসে পার্টটাইমার বোলার গ্লেন ফিলিপসের কাছে ধসে গেছে বাংলাদেশ। ফিলিপসকে মেরে খেলতে গিয়েই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই চার উইকেট পেয়ে গেছেন দিনের সেরা বোলার ফিলিপস। জয় বলেন- ‘দেখেন, ও অকেশনাল বোলার ছিল। আমরা যদি ওকে চার্জ না করি, তাহলে হয়তো দেখা গেল ও যদি ভালো বল করে, মেইন বোলাররা আমাদের আরও চেপে বসবে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল অকেশনাল কেউ এলে ওকে টেকঅফ করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা বাজে শট খেলে আউট হয়ে গেছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা