প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
‘এবং নগ্ন আলোয় আমি দেখেছি ১০ হাজার মানুষ, হয়তো আরও বেশি। লোকেরা মুখ না নেড়েই কথা বলছিল, সব শুনছিল কিছু না শুনেই। লোকেরা গান লিখছিল, যা কণ্ঠে আসে না। নৈঃশব্দ্যের আওয়াজকে বিরক্ত করার সাহস দেখায়নি কেউ।’ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সাইমন অ্যান্ড গারফাঙ্কেলের ‘দি সাউন্ড অব সাইলেন্স’ গানটি শুনেছিলেন প্যাট কামিন্সরা। শিরোপার মঞ্চে মস্তিষ্ক শীতল রাখতে বিখ্যাত এ গানের আশ্রয় নেন ট্রাভিস হেডরা, সফলও হন। নীলের ঢেউয়ে না ভেসে বরং পিনপতন নীরবতা নামান আহমেদাবাদে।
টসে জিতলে ফিল্ডিং নেওয়ার বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এক মুখপাত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘ওই মাঠে (নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম) আগে বোলিংয়ের সব পরিসংখ্যান আমাদের পরিসংখ্যানবিদ টম বডির কাছে চেয়েছিল অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও প্যাট কামিন্স।’ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন, দলের পরিসংখ্যানবিদদের মত আগে ব্যাট করার পক্ষে ছিল। কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়রা আগে ফিল্ডিংয়ের পক্ষে ছিলেন। কামিন্সসহ বাকি দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডও আগে বোলিং করতে চেয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ফাইনালের আগে নিজেদের শান্ত রাখতে ‘দি সাউন্ড অব সাইলেন্স’ গানটা শুনেছিলেন অজি খেলোয়াড়রা।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে গান শোনা বা গান গাওয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ঐতিহ্যের অংশ। যখনই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, শক্ত প্রতিপক্ষ সামনে পড়ে, নিজেদের উজ্জীবিত করতে টোটকা খাটান ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।